এফএনএস বিদেশ: রাশিয়ায় উৎপাদিত খাদ্যশস্য রফতানির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভাদিমির পুতিন। একইসঙ্গে রুশ সার রফতানির ওপরও জোর দিয়েছেন তারা। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি। শুক্রবার রাশিয়ার অবকাশ শহরে সোচিতে এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন পুতিন। চার ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের পর দুই নেতার এক যৌথ বিবৃতিতে রাশিয়ার খাদ্যশস্য ও সার উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল রফতানিসহ ইস্তাম্বুল চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের ওপর জোর দেওয়া হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, আঙ্কারা ও মস্কোর মধ্যকার গঠনমূলক সম্পর্ক গত মাসে ইউক্রেনীয় খাদ্যশস্য রফতানির ঐতিহাসিক চুক্তিতে পৌঁছাতে ইতিবাচক ভ‚মিকা রেখেছে। তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় গত ২২ জুলাই মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে এ-সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ইউক্রেন ইস্যুর বাইরে সিরিয়া পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন দুই নেতা। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে একটি স্থায়ী সমাধানে পৌঁছানোর জন্য রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার গুরুত্বের ওপর জোর দেন দুই প্রেসিডেন্ট। বিদ্যমান আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ সত্তে¡ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বিষয়টিও পুনর্ব্যক্ত করেছেন এরদোয়ান-পুতিন। এ ছাড়া দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়ানো এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদারে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারেও একমত হন দুই নেতা। উলেখ্য, গত ২৪ ফেব্র“য়ারি রুশ প্রেসিডেন্ট ভাদিমির পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে কথিত বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এই অভিযানকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে পুতিন ও তার ঘনিষ্ঠজনদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। গত ১৪ জুন প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে রুশ প্রেসিডেন্টের দফতর ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ স্বীকার করেছেন, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ধকল কাটানো সহজ নয়। তিনি বলেন, পশ্চিমাদের যেসব পদক্ষেপ রাশিয়ার অর্থনীতিকে বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে সেগুলো ছিল কঠিন। তবে তাদের এসব পদক্ষেপ মস্কোকে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ দেশগুলোর দিকে আরও ঠেলে দিচ্ছে।