এফএনএস: চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই দুই দিনের সফর শেষে ঢাকা ছেড়ে গেছেন। গতকাল রোববার বেলা পৌনে ১১টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি। বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। গত শনিবার বিকেলে ঢাকায় আসেন ওয়াং ই। সন্ধ্যায় তিনি রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর গতকাল রোববার সকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের সঙ্গে রাজধানীর একটি হোটেলে বৈঠক করেন। বৈঠকে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বিষয়ে চারটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এগুলো হলো- পিরোজপুরে অষ্টম বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ সেতুর হস্তান্তর সনদ, দুর্যোগ মোকাবিলা সহায়তার জন্য পাঁচ বছর মেয়াদি সমঝোতা স্মারকের নবায়ন, ২০২২-২৭ মেয়াদে সাংস্কৃতিক সহযোগিতা সমঝোতা স্মারকের নবায়ন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চীনের ফার্স্ট ইনস্টিটিউট অব ওশেনোগ্রাফির মধ্যে মেরিন সায়েন্স নিয়ে সমঝোতা স্মারক। পরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকে চীন আরও এক শতাংশ বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্র“তি দিয়েছে। সে কারণে বাংলাদেশ এখন থেকে চীনের বাজারে ৯৯ শতাংশ পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে। এর মধ্যে পোশাক শিল্পসহ অন্যান্য পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে। সূত্র জানায়, বৈঠকে আলোচনায় উঠলে ওয়াং ই শিগগির আটকে পড়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের চীনের ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেন। এজন্য দ্রুতই ভিসা ইস্যু শুরু হবে। স¤প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের উত্তেজনা ও তাইওয়ান ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা জানি যে তাইওয়ান ইস্যুতে আন্তর্জাতিক রীতি-নীতি মানার বিষয়টিতে তারা জোর দেয়। তারা আমাদের কাছে তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে। ‘এক চীন’ নীতি নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থানের জন্য তারা ধন্যবাদ জানিয়েছে। আমরা আমাদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছি বলে তিনি (ওয়াং ই) কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। ড. মোমেনের সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ওয়াং ই।