এফএনএস বিদেশ : বিশ্ববাজারে আরো এক ধাপ কমলো তেলের দাম। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই আন্তর্জাতিক বাজারে জ¦ালানি তেলের মূল্য ক্রমাগতভাবে কমছে। কারণ মন্দার আশঙ্কায় চাহিদায় প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে গত মাসে চীনের ক্রুড আমদানি ধীর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে নির্দেশ করে। গতকাল সোমবার সকালে দেখা যায়, প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৭৪ সেন্ট বা শূন্য দশমিক আট শতাংশ কমে ৯৪ দশমিক ১৮ ডলারে নেমেছে, যা ফেব্র“য়ারির শেষ সপ্তাহের পর সর্বনিম্ন। তাছাড়া সাপ্তাহিকভিত্তিতে ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ কমে ২০২০ সালের এপ্রিলের পর সর্বনিম্ন হয়েছে। গত এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহের পর এবারই সবচেয়ে দ্রুত তেলের দাম কমছে। ধারণা করা হচ্ছে, বিশ্বজুড়ে আবারো করোনার বিস্তার বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে তেলের চাহিদা হ্রাস পেতে শুরু করেছে। ফলে গত ছয় মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসছে জ¦ালানি তেলের দাম। ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম এক সপ্তাহেই কমেছে ১০ শতাংশ। চীন বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ক্রুড তেল আমদানি করে। জুলাই মাসে দেশটি প্রতিদিন ৮ দশমিক ৭৯ মিলিয়ন ব্যারেল তেল আমদানি করেছে। কিন্তু তা গত বছরের তুলনায় ৯ দশমিক ৫ শতাংশ কম। উচ্চ ক্রুড মূল্য ও দুর্বল অভ্যন্তরীণ মার্জিনের মধ্যে চীনের শোধনাকারীরা মজুতও কমিয়েছে। এর আগে ১ আগস্ট বিশ্ববাজারে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম প্রতি ব্যারেলে ১ দশমিক ১৮ ডলার বা ১ দশমিক ২ শতাংশ কমে হয় ১০৩ দশমিক ১৫ ডলার। ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুডের দর প্রতি ব্যারেল এখন ৯৭ দশমিক ৪৪ ডলার। ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুডের দাম ১ দশমিক ৪৩ ডলার বা দেড় শতাংশ কমেছে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্রুড তেল আমদানিকারক দেশ চীনে গত জুনে উৎপাদনের গতি বেড়েছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে নতুন করে লকডাউন ঘোষণা করায় জুলাইয়ে প্রত্যাশিত উৎপাদন হয়নি। কেইক্সিং বা মার্কিটের ম্যানুফ্যাকচারিং ম্যানেজারস ইনডেক্সে (পিএমআই) গত জুনে চীনের পয়েন্ট ছিল ৫১ দশমিক ৭। গত ১৩ মাসের মধ্যে জুনে উৎপাদন ছিল সবচেয়ে বেশি। কিন্তু জুলাইয়ে এ সূচকে চীনের পয়েন্ট ছিল ৫০ দশমিক ৪, যেটা ছিল প্রত্যাশিত পয়েন্টের চেয়েও অনেক কম। আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সিএমসি মার্কেটসের টিনা টেং বলেন, তেলের দাম কমার প্রথম ও মূল কারণ চীনের উৎপাদন হতাশজনকভাবে কমে যাওয়া।