আলমগীর হোসেন, বিষ্ণুপুর থেকেঃ ভরা বর্ষা মৌসুমে পানি না থাকায় পাট নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুরের কৃষকরা। আষাঢ় মাস শেষ হয়ে শ্রাবণ মাস প্রায় শেষ। অথচ এই ভরা বর্ষা মৌসুমেও খাল-বিল, পুকুর, ডোবা, নালা, জলাশয়গুলোতে বর্ষার পানি না আসায় পাটজাগ না দিতে পেরে কৃষকরা দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। সোনালি আঁশ পাট কেটে পানির আশায় ক্ষেতেই ঝাপিয়ে রেখেছেন অনেক কৃষক। এতে রৌদ্রতাপে অনেক পাট ক্ষেতেই শুকিয়ে নষ্ট হচ্ছে। পাট কাটাসহ ফসল ঘরে ওঠানো নিয়ে মহাসংকটে সময় পার করছেন চাষিরা। পানি স্বল্পতা ও শ্রমিক সংকটে নাজেহাল অবস্থায় কৃষকরা। মঙ্গলবার সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বিরূপ আবহাওয়ার মধ্যেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার অধিক পাট চাষ হয়েছে এবং আবহাওয়া বিরূপ হওয়ায় এবার অধিক পরিশ্রম ও সেচ দিয়ে পাট বাঁচাতে হয়েছিল তাদের। সব কিছুর পর এবার বাম্পার ফলন হয়েছে কিন্তু পানির অভাবে কৃষক পড়ছেন চরম বিপাকে। উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়ানের মকুন্দ মধুসুধনপুর, শ্রীরামপুর, চাঁচাই, পারুলগাছা, বন্ধকাটি, জয়পএকাটি, সহ বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা পাট চাষ করছেন। এদিকে পাট চাষিদের লোকসানের সম্ভাবনা না থাকায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে পাট চাষির সংখ্যা। এ বছর পাটের আবাদ বৃদ্ধি ও পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। এবছর বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মুকুন্দপুর ব্লগে ৩০ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু ভারী বর্ষা না থাকায় অনেক কৃষক পাট কাটতে চাচ্ছেন না। আবার অনেকে পাট কেটেও জমিতে ছিটিয়ে বা স্তুপ করে রেখেছেন। কেউ কেউ শ্যালো মেশিন দিয়ে পানির ব্যবস্থা করলেও তাতে বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে। নিশ্চিত লাভ জেনেও পানির অভাবে কৃষকের স্বপ্ন অধরা থেকে যাচ্ছে।