সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশনের ক্ষমতা কুক্ষিগতকারী বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদের সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জ্বলসহ দুর্নীতিবাজদের বিচারের দাবীংেত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ সাতক্ষীরা শহর শিবিরের উদ্যোগে আন্ত:থানা ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আশাশুনি উপজেলা জামায়াতের কমিটি গঠন আশাশুনি সমাজ কল্যাণ পরিষদে অর্থে ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও অনুদান বিতরণ নূরনগর আমীরের শপথ মজলিশে শূরা নির্বাচন ও কর্ম পরিষদ গঠন আশাশুনি টঙ্গী ইজতেমায় হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন সাতক্ষীরা উলামা পরিষদের মানব বন্ধন সাতক্ষীরায় কৃষি ঋণ কমিটির সভা নেহালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অসুস্থ ছাত্রীর বড়ীতে \ উচ্ছ্বাসিত শিক্ষার্থী পরিবার বটিয়াঘাটায় ইজতেমায় হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

বিষ্ণুপুরে বর্ষা মৌসুমে পানি না থাকায় পাট নিয়ে বিপাকে চাষীরা

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট, ২০২২

আলমগীর হোসেন, বিষ্ণুপুর থেকেঃ ভরা বর্ষা মৌসুমে পানি না থাকায় পাট নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুরের কৃষকরা। আষাঢ় মাস শেষ হয়ে শ্রাবণ মাস প্রায় শেষ। অথচ এই ভরা বর্ষা মৌসুমেও খাল-বিল, পুকুর, ডোবা, নালা, জলাশয়গুলোতে বর্ষার পানি না আসায় পাটজাগ না দিতে পেরে কৃষকরা দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। সোনালি আঁশ পাট কেটে পানির আশায় ক্ষেতেই ঝাপিয়ে রেখেছেন অনেক কৃষক। এতে রৌদ্রতাপে অনেক পাট ক্ষেতেই শুকিয়ে নষ্ট হচ্ছে। পাট কাটাসহ ফসল ঘরে ওঠানো নিয়ে মহাসংকটে সময় পার করছেন চাষিরা। পানি স্বল্পতা ও শ্রমিক সংকটে নাজেহাল অবস্থায় কৃষকরা। মঙ্গলবার সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বিরূপ আবহাওয়ার মধ্যেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার অধিক পাট চাষ হয়েছে এবং আবহাওয়া বিরূপ হওয়ায় এবার অধিক পরিশ্রম ও সেচ দিয়ে পাট বাঁচাতে হয়েছিল তাদের। সব কিছুর পর এবার বাম্পার ফলন হয়েছে কিন্তু পানির অভাবে কৃষক পড়ছেন চরম বিপাকে। উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়ানের মকুন্দ মধুসুধনপুর, শ্রীরামপুর, চাঁচাই, পারুলগাছা, বন্ধকাটি, জয়পএকাটি, সহ বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা পাট চাষ করছেন। এদিকে পাট চাষিদের লোকসানের সম্ভাবনা না থাকায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে পাট চাষির সংখ্যা। এ বছর পাটের আবাদ বৃদ্ধি ও পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। এবছর বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মুকুন্দপুর ব্লগে ৩০ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু ভারী বর্ষা না থাকায় অনেক কৃষক পাট কাটতে চাচ্ছেন না। আবার অনেকে পাট কেটেও জমিতে ছিটিয়ে বা স্তুপ করে রেখেছেন। কেউ কেউ শ্যালো মেশিন দিয়ে পানির ব্যবস্থা করলেও তাতে বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে। নিশ্চিত লাভ জেনেও পানির অভাবে কৃষকের স্বপ্ন অধরা থেকে যাচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com