এফএনএস বিদেশ : দখল করা একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ‘পারমাণবিক ঢাল’ হিসেবে ব্যবহার করছে রাশিয়া। বুধবার ইউক্রেন এমন অভিযোগ তুলে দাবি করেছে, দখলকৃত জাপোরিজ্জিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে রুশ সেনারা মারহানেটস শহরে রকেট হামলা চালাচ্ছে। রুশ হামলায় অন্তত ১৩ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে। রাশিয়া কিছু দিন আগে অভিযোগ করেছে, এই মারহানেটস শহর থেকেই ইউক্রেনীয় সেনারা জাপোরিজ্জিয়া পারমাণবিক কেন্দ্রে গোলাবর্ষণ করেছে। ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র জাপোরিজ্জিয়াতে হামলার জন্য একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছে ইউক্রেন ও রাশিয়া। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ)-এর প্রধান রাফায়েল গ্রসি উভয়পক্ষকে ধৈর্য্য ধারণের আহŸান জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, পারমাণবিক বিপর্যয়ের খুব বাস্তব ঝুঁকি রয়েছে। শিল্পোন্নত সাতটি দেশের জোট জি-৭ বুধবার দাবি করেছে, অবিলম্বে রাশিয়াকে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ইউক্রেনের হাতে তুলে দিতে। মারহানেটস শহরে রকেট হামলা নিয়ে ইউক্রেনের অভিযোগের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে রাশিয়ার মন্তব্য জানাতে পারেনি রয়টার্স। বার্তা সংস্থাটির পক্ষ থেকে স্বতন্ত্রভাবে এই অভিযোগ নিশ্চিত করাও সম্ভব হয়নি। মস্কো দাবি করে আসছে, তারা ইচ্ছাকৃতভাবে ইউক্রেনে তাদের তথাকথিত বিশেষ সামরিক অভিযানে বেসামরিকদের নিশানা করা হচ্ছে না। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির চিফ অব স্টাফ আন্দ্রি ইয়েরমাক অভিযোগ করেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনীয় শহরে হামলা চালাচ্ছে। জাপোরিজ্জিয়া পারমাণবিক কেন্দ্রে অবস্থান করায় ইউক্রেন যে হামলা চালাতে পারবে না-এই সুযোগ তারা নিচ্ছে। কারণ এখানে হামলা চালানো ইউক্রেনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। টেলিগ্রামে তিনি লিখেছেন, আবাসিক ভবন লক্ষ্য করে ৮টি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। সন্ত্রাসী রাষ্ট্রটি বেসামরিকদের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রেখেছে। ভীরু রুশরা এর চেয়ে বেশি কিছু করতে পারে না। তাই তারা জাপোরিজ্জিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে লুকিয়ে আছে।রাশিয়ার বিরুদ্ধে উসকানি ছাড়াই সা¤্রাজ্যবাদী ঘরানার আগ্রাসী যুদ্ধ শুরু করার অভিযোগ করা ইউক্রেন বলছে, বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে প্রায় ৫০০ রুশ সেনা, ভারী সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন রয়েছে। যদিও এখানে ইউক্রেনীয় টেকনিশিয়ানরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। রাশিয়া দাবি করেছে, তাদের সেনারা দায়িত্বশীল আচরণ করছে এবং কেন্দ্রটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য সবকিছু করছে। মস্কো অভিযোগ করেছে, ইউক্রেনীয় সেনারা কেন্দ্রটিতে গোলাবর্ষণ করছে। যা অস্বীকার করেছে কিয়েভ।