এফএনএস: ফেনীতে সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে তিন ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনাটি সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ নিয়েছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেনী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আশিকুর রহমান এ আদেশ দেন। নির্মাণাধীন একটি ভবনের নিচতলার সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা না হওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার সম্মিলনের (বামাস) চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম নান্টু বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন। আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে আদেশের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার পুনরায় শুনানি নিয়ে এ হতাহতের বিষয়ে সিআইডিকে তদন্তের আদেশ দেন। এ ঘটনায় ভবন মালিক রুহুল আমিন ও তার ছেলে নাজমুস শাহাদাত সোহাগকে আসামি করা হয়েছে। আবেদনকারী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম নান্টু বলেন, সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে তিন ভাই নিহতের ঘটনায় ভবন মালিক রফাদফা করে পার পেয়ে যাচ্ছেন। বিষয়টি আমার দৃষ্টিগোচর হলে বামাসের পক্ষ থেকে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিই। তিনি বলেন, বিল্ডিং কোড ও পৌরসভার শর্ত অমান্য করায় দন্ডবিধি অনুযায়ী এটি একটি হত্যাকান্ড। তাই এর বিচার চেয়ে এবং ভবন মালিক জামায়াত নেতা রুহুল আমিন ও তার ছেলে নাজমুস শাহাদাত সোহাগকে আইনের আওতায় আনতে মামলা করা হয়েছে। আশা করি, আদালতে ন্যায়বিচার পাবে নিহতের পরিবার। ফেনী শহরের নাজির রোডের বাসিন্দা রুহুল আমিনের নির্মাণাধীন ভবনের নিচ তলায় গত ২৬ জুলাই সকালে সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরিত হয়। এতে বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের ফুলহাতা গ্রামের ছৈয়দ আলী মুন্সির ছেলে নুরুল ইসলাম মুন্সী (৫২), মো. আবদুর রহমান মুন্সী (৪৯) ও মো. মুনীরুজ্জামান মুন্সীর (৪২) মৃত্যু হয়।