এফএনএস: বর্তমানে চিকিৎসা, শিক্ষা বা ভ্রমণ থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই ডলারের আউটফ্লো (বহির্গমন) বেড়ে গেছে। এর ফলে এখন যে পরিমাণ ডলার দেশে আসছে তারচেয়ে বেশি চলে যাচ্ছে বাইরে। এতে যেমন একদিকে ডলারের রিজার্ভ কমছে, অন্যদিকে নানা সীমাবদ্ধতার কারণে পর্যাপ্ত ডলার দেশে আসছে না। এ কারণে খোলা বাজারে ডলারের মূল্য হু হু করে বাড়ছে। সবমিলিয়ে বর্তমানে এ সংকট মোকাবিলায় বিদেশে যাওয়ার সময় ক্যাশ ডলার বহনে নিরুৎসাহিত করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এখন বাজারে ডলার সংকট ও রিজার্ভ কমার মূল কারণ আমদানি বৃদ্ধি। রপ্তানির তুলনায় দেশের আমদানি বেশি। আমাদের আমদানি-রপ্তানির মধ্যে শুন্যস্থান পূরণ করতে হলে রপ্তানি বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাজার স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত রিজার্ভ থেকে ডলার সরবরাহ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এটা অব্যাহত থাকবে। রেমিট্যান্স বাড়ানোর দিকেও নজর দিতে হবে। এর আগে সোমবার ডলার কারসাজির সঙ্গে জড়িত ৬ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। পাঁচটি দেশি এবং একটি বিদেশি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর এ-সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে ট্রেজারি বিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, যারা খোলাবাজারে ডলারের অবৈধ ব্যবসা করছে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। এখন পর্যন্ত পাঁচটি মানি এক্সচেঞ্জ হাউসের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। পাশাপাশি ৪৫টিকে কারণ দর্শাতে (শোকজ) বলা হয়েছে। শোকজের পাশাপাশি আরও ৯টি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলা হয়েছে।