বিশেষ প্রতিনিধি \ সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা ইউনিয়নের নওয়াপাড়া গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফার কবর ভাঙচুরের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তম‚লক শাস্তির দাবি করেছেন বীরমুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ। ১১ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে কালিগঞ্জ উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কালিগঞ্জ ইউনিটের সাবেক সাংগঠনিক কমান্ডার শেখ অজিহার রহমান, সহকারী কমান্ডার জিএম ন‚র মোহাম্মদ, তারালী ইউনিয়নের সাবেক কমান্ডার আবু বক্কর সিদ্দীক, নলতা ইউনিয়নের সাবেক কমান্ডার আবুল হোসেন, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার গোলাম রসুল, উপজেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ ন‚র আলী, উপজেলা ওলামা লীগের সাবেক সভাপতি মাও. শেখ আব্দুল­াহ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের মথুরেশপুর ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক শেখ শিমুল হোসেন ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উক্ত ভাংচুরকৃত কবরস্থা পরিদর্শরকালে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং দোষীদের দৃষ্টান্তম‚লক শাস্তির দাবি জানান। এসময় বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফার স্ত্রী সাবেক ইউপি সদস্য মোছাঃ খোদেজা খাতুন (৬৫) জানান, তার স্বামী গোলাম মোস্তফা ১৯৯৯ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি মৃত্যুবরণ করার আগে থেকেই একই গ্রামের মৃত এলাহি বক্স মোড়লের পুত্র প্রভাবশালী ইসরাইল হোসেনের (৬০) সাথে তাদের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। ইসরাইল হোসেন বিভিন্ন সময় তাদের পরিবারের সাথে চরম খারাপ আচরণের পাশাপাশি হুমকি ধামকি প্রদান করেন। এক পর্যায়ে জমি জবরদখলের উদ্দ্যেশ্যে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে গত ১১ জুলাই রাত ৮ টার দিকে ইসরাইল গং বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফার কবর ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় তিনি (মোছা: খোদেজা খাতুন) বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উলে­খসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন ।মামলা নং-১৩, তাং- ১৪/০৭/২০২২। এবিষয়ে ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন বাদী মোছা: খোদজা খাতুন ও তার পরিবার।