এফএনএস: ভারতের মধ্যপ্রদেশ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় থাকা লঘুচাপটি গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। তবে এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপক‚লীয় এলাকায় শুক্রবারেও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পাঠানো সতর্কবার্তায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে থাকা মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপক‚লের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সতর্কবার্তায় আরও বলা হয়, পূর্ণিমা ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপক‚লীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, ল²ীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে ৪ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ¡াসে প্লাবিত হতে পারে। আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান বলেন, দেশের আট বিভাগেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায়, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের কিছুকিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে। এছাড়াও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে ও অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছেন এই আবহাওয়াবিদ। গত বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে কক্সবাজারে ৬৪ মিলিমিটার। এসময়ে ঢাকায় সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। আগামী তিনদিনের শেষ সময়ে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর।