বাংলাদেশ বর্তমান সময়ে আন্তর্জাতিক বিশ্বে বিশেষ ভাবে আলোচিত এবং আলোকিত। আর আলোচিত ও আলোকিত বিষয় গুলোর মধ্যে অন্যতম আমাদের দেশের শিল্প। নিকট অতীতেও আমাদের দেশের অভ্যন্তরীন প্রয়োজন মেটাতে আন্তর্জাতিক বিশ্বের তথা বিশ্ব বাজারের উপর নির্ভরশীল থাকতে হতো, কিন্তু সময়ের ব্যবধানে আর বাস্তবতার নিরিখে আমাদের দেশ শিল্প উৎপাদন ও উন্নয়নে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ পর্যায়ে। আমাদের অভ্যন্তরীন প্রয়োজন মেটাতে বিশ্ব বাজার হতে আমদানীর যুগের অবসান ঘটেছে। আমরা আমদানীর পরিবর্তে বিশ্ব বাজারে আমাদের উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী রপ্তানী করছি। আন্তর্জাতিক বিশ্ব তথা বিশ্ব বাজারে আমাদের উৎপাদিত পণ্য সামগ্রীর ব্যাপক চাহিদা। আর তাই বিশ্ব বাজারে দেশের উৎপাদিত পণ্য বিশেষ মূল্যে বিক্রয় হচ্ছে। প্রতি বছর দেশ বিশ্ব বাজারে উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী বিক্রির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করছে। আর উপার্জিত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অনেক অনেক স্বাস্থ্যবান। দেশের অর্থনীতিতে বৈদেশিক মুদ্রার সুবাতাস বইছে, অতীতের যে কোন সময় অপেক্ষা বর্তমান সময়ে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। এক কথায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অতীতের সব ধরনের রেকর্ড ভেঙ্গেছে। একদা বিশ্ব ব্যবস্থায় বাংলাদেশ হত দরিদ্র, পিছিয়ে পড়া সর্বপরি অর্থনীতিতে অনগ্রসর দেশ হিসেবে বিবেচিত থাকলেও সেই সময় বা যুগের অবসান ঘটেছে। বর্তমান সময়ে অর্থনৈতিক স্বাবলম্বী দেশের তালিকায় নিজেকে বিশেষ ভাবে সম্পৃক্ত করেছে আমাদের দেশ। আন্তর্জাতিক স¤প্রদায় ইতিমধ্যে বলতে শুরু করেছে বাংলাদেশ অর্থনীতিতে কাঙ্খিত এবং সমৃদ্ধিশালী দেশের তালিকায় নিজের নাম লেখাতে সক্ষম হয়েছে। যতই দিন যাচ্ছে ততোই আমাদের দেশের অর্থনীতির চাকা সুদৃঢ় ও সুসংহত হচ্ছে। বর্তমান উৎপাদন ব্যবস্থা অব্যাহত থাকলে অর্থনীতির সুবাতাস বইতেই থাকবে।