শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:২১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
শান্তি আলোচনার পর ইউক্রেনে বৃহত্তম ড্রোন হামলা চালালো রাশিয়া সিরিয়ায় পুনরায় কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে বিশ্বব্যাংক অপারেশন সিঁদুর নিয়ে মন্তব্য, ভারতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক গ্রেফতার সৌদি আরবে অবৈধদের ধরতে অভিযান, গ্রেফতার ১৫ হাজার হায়দরাবাদের চারমিনারের কাছে ভবনে আগুন, শিশুসহ নিহত ১৭ যে কারণে ব্যর্থ হলো ভারতের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ ভারতের জন্য আকাশসীমা আরও এক মাস বন্ধ রাখবে পাকিস্তান: রিপোর্ট ইরানে শিয়া মাজারে হামলার ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ—মধ্যাঞ্চলে ভয়াবহ টর্নেডোয় ২৭ জনের প্রাণহানি যে কারণে পেনাল্টি নেননি হালান্ড

ভেন্টিলেটর সরিয়ে নেয়া হয়েছে, কথা বলতে পারছেন: সালমান রুশদী

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় রবিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২২

এফএনএস বিদেশ : যুক্তরাষ্ট্রের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন লেখক সালমান রুশদীর ভেন্টিলেটর সরিয়ে নেয়া হয়েছে এবং তিনি এখন কথা বলতে পারছেন। তার মুখপাত্র অ্যান্ড্রু ওয়াইলি যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন। এর আগে তিনি মিস্টার রুশদী একটি চোখ হারাতে পারেন বলে জানিয়েছিলেন। যদিও তার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোন তথ্য এখনো জানানো হয়নি। কিন্তু অনেক লেখক ও পন্ডিত ব্যক্তিরা টুইট করে মিস্টার রুশদী কথা বলতে পারছেন জেনে স্বস্তি প্রকাশ করছেন। পঁচাত্তর বছর বয়সী সালমান রুশদী নিউইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার সময় হামলার শিকার হন। তার অবস্থা ছিলো গুরুতর। দ্যা স্যাটানিক ভার্সেস বইটি নিয়ে মুসলিমদের মধ্যে ক্ষোভের জের ধরে বহু বছর ধরে হত্যার হুমকির মধ্যে ছিলেন তিনি। বিশ্বজুড়ে অনেক মুসলিম মনে করেন যে এই বইটিতে তাদের ধর্মের অবমাননা করা হয়েছে। চব্বিশ বছর বয়সী হাদি মাতার দৌড়ে মঞ্চে উঠে মিস্টার রুশদীর মুখ, গলা ও পাকস্থলী বরাবর উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করেছিলেন। ওই ঘটনার পর অ্যান্ড্রু ওয়াইলি বলেছিলেন যে মিস্টার রুশদীর বাহুর নার্ভ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া তার লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তিনি একটি চোখ হারাতে পারেন। তবে তিনি যে প্রতিষ্ঠানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন সেই শিটোকোয়া ইন্সটিটিউশনের প্রেসিডেন্ট টুইট করে জানিয়েছেন যে মিস্টার রুশদীর ভেন্টিলেটর সরিয়ে নেয়া হয়েছে এবং তিনি কথা বলতে পারছেন। হেনরি রিজ ওই অনুষ্ঠানে সালমান রুশদীর সাক্ষাৎতকার নিচ্ছিলেন। হামলাকারী তাকেও আঘাত করেছিলো। তবে তিনি মাথায় সামান্য আঘাত পেয়েছেন। তিনি আয়োজক প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা। এই প্রতিষ্ঠানটি হত্যার হুমকির মুখে নির্বাসনে থাকা লেখকদের জন্য কাজ করে থাকে। হামলার আগ মুহূর্তে মিস্টার রুশদী কিভাবে যুক্তরাষ্ট্র এ ধরণের লেখকদের সহায়তা করে থাকে তা নিয়ে বক্তব্য দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। উনিশশো আটাশি সালে স্যাটানিক ভার্সেস প্রকাশিত হওয়ার পর প্রায় দশ বছর ধরে মিস্টার রুশদীকে আত্মগোপনে থাকতে হয়েছিলো। অনেক মুসলিমের অভিযোগ বইটিতে ইসলামের নবীকে যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে সেটি তাদের বিশ্বাসের প্রতি চরম অবমাননাকর। ইরানের তখনকার ধর্মীয় নেতা আয়াতুল­াহ খোমেনি তার মৃত্যুদন্ড ঘোষণা করে ফতোয়া দিয়েছিলেন এবং তার মাথার দাম তিন মিলিয়ন ডলার ঘোষণা করেছিলেন। সেই ফতোয়া এখনো প্রত্যাহার করা হয়নি। যদিও এই ফতোয়া থেকে সমর্থন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার করে নিয়েছে ইরান সরকার। তবে ইরানের ধর্মীয় ফাউন্ডেশনের এক কর্মকর্তা ২০১২ সালে পুরষ্কারের পরিমাণ আরও পাঁচ লাখ ডলার বাড়িয়ে দেন। মিস্টার রুশদী ১৯৪৭ সালে ভারতের বোম্বেতে (বর্তমান মুম্বাই) জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ক্যামব্রিজে পড়ার আগে তিনি ইংল্যান্ডের বোর্ডিং স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন। সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি নাইট উপাধিতে ভ‚ষিত হয়েছেন। তার ওপর হামলার ঘটনাকে মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর হামলার উলে­খ করে ব্যাপক প্রতিবাদ করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com