এম এম নুর আলম \ আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি (হলদেপোতা) থেকে গোয়ালডাঙ্গা হয়ে প্রতাপনগর সড়কটি বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। সড়কটির হলদেপোতা থেকে তেঁতুলিয়া বাজার অংশে একাধিক স্থানে ধ্বস লেগে মূল সড়ক ভাঙতে শুরু করেছে। এছাড়াও পিচ পাথর উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত সংস্কার না করলে সড়কটি ব্যবহার অনুপযোগি হতে পারে। এ সড়ক দিয়ে প্রতাপনগর, খাজরা, আনুলিয়া, বড়দল ও কাদাকাটি ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ সাতক্ষীরা জেলা শহর সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত করেন। সড়কটি দিয়ে এ্যাম্বুলেন্স, ট্রাক, নসিমন, করিমন, ইজিবাইক, মাহিন্দ্র, মটর ভ্যান, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে। সড়কটির দু’পাশে যদুয়ারডাঙ্গা সপ্তপলী বাজার, তেঁতুলিয়া বাজার, গোয়ালডাঙ্গা বাজার, তুয়ারডাঙ্গা মৎস্য সেট, কাকবাসিয়া বাজার, গদাইপুর বাজার, কাপসন্ডা বাজার, চেউটিয়া বাজার, আনুলিয়া বাজার, বিছট বাজার, প্রতাপনগর বাজার, কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, মৎস্য সেট ও হাটবাজার অবস্থিত। সেখানের বাজারগুলোতে বিভিন্ন জিনিসপত্র ক্রয়-বিক্রয় হয়ে থাকে। এসব এলাকার অধিকাংশ মানুষ মৎস্য ঘেরের উপর নির্ভরশীল। এই রাস্তা দিয়ে মানুষ কোটি কোটি টাকার মৎস্য চিংড়ী বিদেশে রপ্তানী করার জন্য নিয়ে যান। কাজেই সড়কটিকে ব্যস্ততম সড়ক হিসাবে ধরা হয়। তবে ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতে মুনাফা লোভি ব্যবসায়ী ও ব্যক্তিবর্গ সড়কের অবস্থার কথা তোয়াক্কা না করে ট্রাকে অতিরিক্ত মাল বহন করায় সড়ককে আরও নষ্ট করে চলেছে। অন্যপথে কিংবা নৌপথে মালামাল পরিবহন খরচ বেশী হওয়ায় ব্যবসায়ী ও অন্যরা এই সড়ক দিয়েই রাস্তার ধারণ ক্ষমতা ছাড়া অতিরিক্ত লোড নিয়ে ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনে তাদের মালামাল আনা নেওয়া করে আসছেন। সড়কের অধিকাংশ এলাকায় মৎস্য ঘের, পুকুর, খাল-বিল থাকায় বর্ষা মৌসুমসহ সকল সময় পানির ঢেউয়ে রাস্তার পার্শ্ববর্তী অংশ ক্ষয়ে যাচ্ছে। সড়কের পাশে আউট ড্রেন না থাকায় এবং সড়ক নির্মানের সময় প্যালা সাইটিং না দেওয়ায় সড়কটি অরক্ষিত হয়ে আছে। নানাবিধ কারণে সড়কের অনেক স্থানে মাটিতে ফাঁটল ধরে ধ্বস লেগেছে। মাটি সরতে শুরু করায় মূল সড়কের ইট বা সিলকোটে ফাঁটল ধরেছে। এছাড়াও অসংখ্য স্থানে রাস্তা বসে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আর এহেন অবস্থায় অতিরিক্ত মাল বোঝাই করে এই পথে ট্রাক দ্রুত গতিতে চলাচল করায় সড়কের অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে পড়েছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় গর্তে পড়ে প্রতিনিয়তই দূর্ঘটনা কবলিত হচ্ছে যানবাহন। দীর্ঘদিন যাবত এ সড়কটির বেহাল দশা থাকলেও কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এটি সংস্কারের তেমন কোন উদ্যোগ চোখে পড়িনি। ফলে কবে হবে এ সড়কটি সংস্কার? ভূক্তভোগী পথচারীদের মনে এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে বর্ষার মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই এ সড়ক চলাচলের জন্য একেবারেই অযগ্য হয়ে পড়বে। এমতাবস্থায় সড়কটির গুরুত্ব বিবেচনা করে অতিদ্রুত পূর্ণাঙ্গ সংস্কার পূর্বক এলাকার মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মহল।