এফএনএস স্পোর্টস: আক্রমণে একটু এগিয়েই ছিল সেল্তা ভিগো। তবে আসল যেটা, সুযোগ কাজে লাগানো, সেটায় অনেক এগিয়ে ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। দুই অর্ধের দুটি করে গোলে সেল্তার বিপক্ষে আধিপত্য ধরে রাখল স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নরা। শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে কার্লো আনচেলত্তির দল পেল টানা দ্বিতীয় জয়। লা লিগার ম্যাচে ৪-১ গোলে জিতেছে রিয়াল। করিম বেনজেমা, লুকা মদ্রিচ, ভিনিসিউস জুনিয়র ও ফেদে ভালভেরদে করেন একটি করে গোল। ঘরের মাঠে আক্রমণাত্মক শুরু করে সেল্তা। নিজেদের গুছিয়ে নিতে একটু সময় নেওয়া রিয়াল অনেকটা খেলার ধারার বিপরীতেই এগিয়ে যায় ত্রয়োদশ মিনিটে। ডাভিড আলাবার শট ডি বক্সে সেল্তার পেরুভিয়ান ডিফেন্ডার রেনাতো তাপিয়ার হাতে লাগলে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সফল স্পট কিকে নতুন মৌসুমে লা লিগায় গোলের খাতা খোলেন বেনজেমা। এগিয়ে যাওয়ার পর আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে রিয়াল। খেলতে থাকে আক্রমণাত্মক ফুটবল। রক্ষণে গুটিয়ে না গিয়ে সেল্তাও চেষ্টা করছিল আক্রমণাত্মক ফুটবলেই জবাব দেওয়ার। ২৩তম মিনিটে সমতাও ফেরায় দলটি। গনসালো পাসিয়েনসিয়ার হেড রিয়ালের ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার এদের মিলিতাওয়ের হাতে লাগলে পেনাল্টি পেয়েছিল সেল্তা। ঠিক দিকে ঝাঁপালেও ইয়াগো আসপাসের স্পট কিক ঠেকাতে পারেননি গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়া। ৩৩তম মিনিটে একটুর জন্য লক্ষ্েয থাকেনি সেল্তার আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার ফ্রাঙ্কো সেরভির শট। দুই মিনিট পর হাভি গালানের ক্রস কাজে লাগাতে পারেননি পাসিয়েনসিয়া। ৪১তম মিনিটে দারুণ এক গোলে ফের রিয়ালকে এগিয়ে নেন মদ্রিচ। আলাবার কাছ থেকে বল পেয়ে কিছুটা এগিয়ে গিয়ে ডি বক্সের বাইরে থেকে দূরের পোস্ট ঘেঁষে জাল খুঁজে নেন ক্রোয়াট মিডফিল্ডার। কিছুই করার ছিল না গোলরক্ষক আগাস্তো মার্চিসিনের। দ্বিতীয়ার্ধেও একইরকম অনুজ্জ্বল শুরু করে রিয়াল। সুযোগ পেয়ে শিরোপাধারীদের চেপে ধরে সেল্তা। তবে তাদের আক্রমণগুলো খেই হারাচ্ছিল প্রতিপক্ষের রক্ষণে গিয়ে। ৫৬তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে চমৎকার গোলে ব্যবধান বাড়ান ভিনিসিউস। মদ্রিচের কাছ থেকে বল পেয়ে দারুণ গতিতে সবাইকে পেছেন ফেলে এগিয়ে যান ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। পরে গোলরক্ষককেও কাটিয়ে কাছের পোস্ট ঘেঁষে ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি। ছয় মিনিট পর জোসেফ আইডুর বুলেট গতির হেড একটুর জন্য থাকেনি লক্ষ্েয। ব্যবধান কমানো হয়নি সেল্তার। ৬৬তম মিনিটে স্কোর লাইন ৪-১ করে ফেলেন ভালেভরদে। প্রতি আক্রমণে বল পেয়ে আহেলিয়া চুয়ামেনি এগিয়ে গিয়ে খুঁজে নেন ভিনিসিউসকে। তিনি স্কয়ার পাস দিয়েছিলেন বেনজেমাকে। ফরাসি স্ট্রাইকারের পা হড়কালে সুযোগ কাজে লাগান ভালভেরদে। দূরের পোস্ট দিয়ে উরুগুয়ের এই মিডফিল্ডার বল পাঠান জালে। ব্যবধান বাড়তে পারতো আরও। ৮৫তম মিনিটে এদেন আজারের স্পট কিক ঠেকিয়ে দেন মার্চিসিন। ব্যর্থ করে দেন বেনজেমার ফিরতি শটও। ফরাসি তারকাকেই উগো মায়ো ফাউল করায় ম্যাচে নিজেদের দ্বিতীয় পেনাল্টি পেয়েছিল রিয়াল। রিয়ালের মতো প্রথম দুই রাউন্ডে জয় পেয়েছে ওসাসুনা ও রিয়াল বেতিস।