বাংলাদেশের অনন্য অসাধারণ সৌন্দর্যের প্রতিক সুন্দরবন। আন্তর্জাতিক বিশ্বে বাংলাদেশ যতগুলো বিষয়ে নিজেকে বিশেষ ভাবে বিকশিত করে। সম্মান আর মর্যাদা লাভ করেছে তার মধ্যে অন্যতম সুন্দরবন, বিশ্বের সৌন্দর্য প্রিয় মানুষগুলো বাংলাদেশের নাম বারবার আলোচনায় রাখে এবং তার অন্যতম কারন সুন্দরবন। অনন্য অসাধারন এই সুন্দরবন কে বলমাত্র সৌন্দর্য্যরে প্রতিক নয়, সম্পদে পরিপূর্ণ। আমাদের দেশের বিপুল সংখ্যক জনসাধারন সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল, প্রতিদিনই অগনিত বনজীবিরা সুন্দরবন অভ্যন্তরে নানান ধরনের কাজ করে থাকে আর উক্ত কর্মযজ্ঞ বনজীবিদের জীবন জীবিকার উৎস্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। যে সুন্দরবন বিশ্বময় লাল সবুজের বাংলাদেশের সৌন্দর্য আর সম্মানের জয়গান করে চলেছে। বিশ্বের দেশে দেশে সুন্দর বন তার দ্রুতি ছড়াচ্ছে সেই সুন্দরবন রক্ষায় আমরা কতটুকু আন্তরিক এবং দায়িত্বশীল? সুন্দরবন রক্ষায় দায়িত্বশীলরা কতটুকু ভূমিকা পালন করছে তা অনুভব আর দেখার বিষয়। সুন্দরবন অভ্যন্তরে এক শ্রেনির দেশোদ্রোহীরা প্রতিনিয়ত বৃক্ষ নিধন করছে এবং উক্ত বৃক্ষ নিধনের কারনে সুন্দরবনের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। দেশের প্রকৃতি আর সৌন্দর্যের অবারিত সুন্দরবন। বাংলাদেশের উপকুলীয় এলাকা গুলোতে প্রতিবছরই কোন না কোন ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আমাদের সুন্দরবন এবং সুন্দরবনের কল্যানে উপকুলীয় এলাকা প্রকৃতির নিষ্ঠুরতা থেকে রক্ষা পেয়ে থাকে। নিকট অতীতের আইলা, সিডর, আম্ফান সহ বহুবিধ প্রকৃতির নিষ্ঠুরতা থেকে সুন্দরবন আমাদের উপকূলীয় এলাকা তথা উপকূলীয় জন সাধারন রক্ষা পেয়ে চলছে। সুন্দরবনের অভ্যন্তরে এক শ্রেনির বনদস্যুরা কেবল বৃক্ষ নিধন করছে তা নয় তারা বন রক্ষায় নিয়োজিত রয়েলবেঙ্গল টাইগার স্থানীয় ভাষায় যাকে বাঘ বলা হয় সেই বাঘ ও নিধন করে চলেছে। সুন্দরবন এর সৌন্দর্যকে অধিকতর বৃদ্ধি করনের ক্ষেত্রে হরিন সর্বেসর্বা সেই মায়া হরিনকেও নিধন করে চলেছে চোরা শিকারীরা। আমাদের সুন্দরবনকে আমাদেরকেই রক্ষা করতে হবে।