আর্ন্তজাতিক উন্নয়ন সংস্থা অপফর/ঠড়পধ এবং ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে ফিড দ্যা ফিউচার ও বাংলাদেশ লাইভস্টক এন্ড নিউট্রেশন অ্যাক্টিভিটি আয়োজিত ‘সামাজিক আচরণ পরিবর্তনে কৌশল তৈরিতে দিক নির্দেশনা’ বিষয়ক কর্মশালা মঙ্গলবার খুলনা হোটেল সিটি ইন-এ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডাঃ সুখেন্দু শেখর গায়েন। প্রধান অতিথি বলেন, দুধ, মাংস এবং ডিম প্রাণিজ আমিষের প্রধান উৎস। মানুষের পুষ্টি চাহিদা মেটাতে প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় দুধ এবং ডিম থাকতেই হবে। শিশুর জন্য মায়ের দুধের বিকল্প নেই। কিন্তু ছাগলের দুধে ক্যাজিন নামক প্রোটিন থাকায় মায়ের দুধের কাছাকাছি পুষ্টি পাওয়া যায়। তিনি গরু-ছাগল পালনে নেপিয়ার ঘাস উৎপাদনের পরামর্শ দেন। কারণ দানাদার খাবারের পাশাপাশি নেপিয়ার ঘাস খাওয়ালে পশুর পুষ্টি নিশ্চিত হবে এবং পর্যাপ্ত দুধ পাওয়া যাবে। খুলনার সিভিল সার্জন ডাঃ সুজাত আহমেদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার জিনাত আরা আহমেদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক একেএম ফজলুল রহমান, খুলনা বেতারের উপআঞ্চলিক পরিচালক মোঃ মোমিনুর রহমান, মহিলা বিষয়ক দপ্তরের উপপরিচালক হাসনা হেনা, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ অরুণ কান্তি মন্ডল। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এসবিসি’র ম্যানেজার মোঃ শাহজাহান মাতুর্ব্বর। কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন জেন্ডার, ইয়ুথ এন্ড সোস্যাল ইনক্লুশনের ম্যানেজার সাজেদা ইয়াসমিন। কর্মশালায় অতিথিরা বলেন, জনপ্রতি দিনে ২৫০ মিলিলিটার দুধ খাওয়া দরকার। সববয়সী মানুষ যাতে দুধ খেতে উদ্বুদ্ধ হয় এজন্য দুধের সরবরাহ বাড়াতে হবে। দুধের দাম সহনীয় রাখা এবং দুধের গুণগত মান বজায় রাখতে মনিটরিং এর ওপর জোর দেন বক্তারা। এছাড়া সাশ্রয়ীমূল্যে জনগণের দুধ প্রাপ্তি নিশ্চিতে বাজার ব্যবস্থাপনা জরুরি। উলেখ্য, এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হলো জনগণের পুষ্টি উন্নয়নে অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে দুধ, মাংস ও দুগ্ধজাত পণ্য গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করা। এছাড়া প্রাণিজ সম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধি, দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য এবং মাংস সরবরাহ ব্যবস্থার টেকসই উন্নয়ন। কর্মশালায় সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি, দুগ্ধ খামারী ও বিপণন ব্যবসায়ীরা অংশ নেন।-তথ্য বিবরণী