এস এম জাকির হোসেন শ্যামনগর থেকেঃ শ্যামনগর উপজেলা সদর চৌমুহনি থেকে গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কের কার্পেটিং উঠে বেহাল দশা, সামান্যতম একটু বৃষ্টি হলেই সড়কের উপরে হাঁটু পানি, প্রতিনিয়ত ঘটছে পথচারী-যানবাহন দুর্ঘটনা। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কার্পেটিং রাস্তাটি দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। এ বিষয়ে যেন দেখার কেউ নেই। হালকা বৃষ্টি হলেই কাদা পানিতে চলাচল করতে হয় পথচারীদের। রাস্তার উপর থেকে কার্পেটিং উঠে যাওয়াই বড় বড় খানা-খন্দে পরিণত হয়েছে। চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে অফিস যাত্রী, ইস্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী, অত্র এলাকার বাসিন্দা, ভুরুলিয়া, নূরনগর সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে উপজেলায় আসা বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষদের। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে সাইকেল, মোটরসাইকেল, মোটর ভ্যান, ইজি বাইক সহ সমস্ত যানবাহন। সড়কের ময়লা কাদা পানিতে চলাচল কারীদের পরনের জামা কাপড় নষ্ট হচ্ছে এবং সড়কটি যানজটে পরিণত হচ্ছে। উপজেলার প্রাণকেন্দ্র অবস্থিত এই সড়কটি অত্যন্ত জন গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন চারটি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ এই সড়ক দিয়ে উপজেলা সদরে আসা-যাওয়া করে। তাছাড়া এই জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কে অবস্থিত উপজেলা পরিষদ, ভূমি রেজিস্ট্রি অফিস, প্রেসক্লাব, বিভিন্ন ব্যাংক, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর, গোপালপুর শহীদ মিনার, ৭১ এর বীর শহীদদের কবর স্থান, সুন্দরবন পিকনিক কর্নার, রাধা কৃষ্ণ গোবিন্দ মন্দির ও ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। উপজেলা প্রশাসনের চত্বর থেকে শুরু করে গোপালপুর মোড় পর্যন্ত সড়কটি দীর্ঘদিন ভগ্নদশায় থাকলেও কোন প্রতিকারের ব্যবস্থা করছে না কর্তৃপক্ষ। বর্তমান সরকার যেখানে গ্রামে শহরের সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছেন সেখানে উপজেলার এই সড়কের বেহাল দশার দীর্ঘ সময় পার হলেও তা সংস্কার করার কোন খবর নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। উপজেলা প্রশাসনের নাকের ডগায় সড়কটির অবস্থান হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের টনক কেন জানি নড়ছে না এমনটাই প্রশ্ন জনমনে। সবকিছুর পরেও দ্রুত সময়ের মধ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এই সড়কের ভগ্নদশা নিরসন হবে এমনই প্রত্যাশা সকলের। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করার জন্য সাতক্ষীরা ৪ আসনের সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম আতাউল হক দোলন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আক্তার হোসেন সহ সংশ্লিষ্ট উধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।