আব্দুল মজিদ কৃষ্ণনগর থেকে \ তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কালিগঞ্জের কৃষ্ণনগরের মোটর সাইকেল চালকরা বেকায়দায় পড়েছে। তেলের দাম বাড়ার কারণে মোটর সাইকেলের ভাড়া ও বেড়েছে। ভাড়া বাড়ার কারণে পাচ্ছে না তারা কোন যাত্রী যে কারণে বেকায় দায় পড়তে হয়েছে তাদের। শনিবার সকাল ১১ টায় ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা বাজারের মোটর সাইকেল গ্যারেজে যেয়ে দেখা যায় মোটর সাইকেল চালকরা তাদের ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল নিয়ে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে আছে নাই কোন ভাড়া। যদি ও দীর্ঘ সময় পরে কোন যাত্রী গ্যারেজের দিকে আসে ভাঁড়ার কথা শুনে তারা চালক দের সাথে তর্ক বিতর্কে লিপ্ত হয় এবং ইজি বাইক অথবা ব্যাটারি চালিত ভ্যান যোগে তাদের গন্তব্যের দিকে রওনা হয়। চালক দের মধ্য থেকে মহিদুল ইসলাম মধু, ফরহাদ হোসেন, মফিজুর রহমান, জিয়াউর রহমান, আব্দুস সাত্তার, দাউদ আলী, সুকান্ত কুমার, সাইফুল ইসলাম, আব্দুলাহ, সালাউদ্দিন, সাইফুল ইসলাম নুর ইসলাম প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ দৃষ্টিপাত কে জানান, তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে তারা মোটর সাইকেলের ভাড়া বাড়িয়েছে। ভাড়া বাড়ার কারণে তারা যাত্রী পাচ্ছে না। আগে বালিয়াডাঙ্গা বাজার থেকে কালিগঞ্জ পর্যন্ত ভাড়া ছিল ১০০ টাকা এখন তা ১৪০ টাকা। বাজার থেকে শ্যামনগর পর্যন্ত ভাড়া ছিল ৮০ টাকা এখন তা ১০০ টাকা করা হয়েছে। যে হিসেবে তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে সে হিসেবে আমরা যাত্রীদের নিকট থেকে ভাড়া নিতে পারছি না। ভাড়া বেশি চাইলে যাত্রীরা কটু কথা বলে। আমরা মোটর সাইকেল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে থাকি সকাল থেকে বসে আছি কোন ভাড়া পাইনি। বাড়ি থেকে যখন বাহির হয়ে এসেছি সাথে বাজার করার জন্য ব্যাগ নিয়ে এসেছি। কোন ভাড়া না পাওয়ায় ভাবছি কিভাবে বাড়ী যাব আর মা, বাবা, স্ত্রী, পুত্রদের মুখে কি তুলি দেবো। আমাদের কারো দশ টাকার চাউলের কার্ডও নাই যদি আমাদের কার্ড থাকত তাহলে কিছুটা হলেও কষ্টের লাঘব হত। অনেক সময় স্থানীয় প্রশাসন আইডি কার্ডের ফটো কপি নেছে কিন্তু দুর্ভাগ্য কোন অনুদান পাওয়া যায় নাই। দু মুঠো ভাত যেন মোটর সাইকেল চালিয়ে আমরা আমাদের পরিবারের মুখে তুলে দিতে পারি সে জন্য তেলের দাম কমানোর জন্য মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।