মোস্তাফিজুর রহমান আশাশুনি থেকে \ জীবন ও জীবিকার তাগিদে জনসাধারণকে ব্যবহার করতে হচ্ছে প্রায় ২মাস পূর্বে দুমড়ে মুচড়ে ভেঙে পড়া আশাশুনি উপজলার শোভনালী ইউনিয়নের ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকড়া ব্রীজ। জুলাই মাসের ৫ তারিখ সোমবার গভীর রাতে ব্রীজের মাঝ বরাবর অবস্থিত প্লিয়ার দুটি প্রায় ৭থেকে ৮ফিট দেবে গিয়ে দুই পাশের সংযোগ সড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যে কোন যানবাহন বা পথচারীর জন্য মারাত্মক হুমকির বার্তা দিয়ে দুমড়ে মুচড়ে আঁকা বাঁকা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ব্রীজটি। ব্রীজটি ভেঙে পড়ার পর আজ ৫৩দিন পার হলেও উপজেলা প্রশাসন বা শোভনালী ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক জনসাধারণের নদী পারাপারের বিকল্প কোন ব্যবস্থার উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। মরিচ্চাপ নদী পূনখননের কারনে খননকৃত নদীর প্রস্থ ১২০ ফুটের তুলনায় ব্রীজটির দৈর্ঘ্য ৬০ফুট অর্থাৎ অধ্যেক হওয়ায় এবং প্লিয়ারের পাশ থেকে মাটি কাটার কারনে প্লিয়ারের নিচ থেকে বালু সরে গিয়ে প্লিয়ার ডেবে যাওয়ায় ব্রীজটি মুখ থুবড়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠায় আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইয়ানুর রহমান ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজটি ব্যবহার না করতে বা ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বনে আহ্বান জানান। সে সময়ে জনসাধারণের জন্য বিকল্প ব্যবস্থার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটার জন্য সময় লাগবে। ব্রীজটির মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার আজ ৫৩দিন পূর্ণ হলেও নদী পারাপারের জন্য আজও পর্যন্ত বিকল্প কোন পদক্ষেপ গ্রহন করতে দেখা যায়নি। ঝুঁকিপূর্ণ দুমড়ে মুচড়ে ভেঙে পড়া ব্রীজটির উপর দিয়ে জীবন ও জীবিকার তাগিদে বাই-সাইকেল, মটরসাইকেল, মটরভ্যান, ইজিবাইক, ইঞ্জিন চালিত ভ্যানসহ অসংখ্য যানবাহন এমনকি পায়ে হেটে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন পারাপার হতে দেখা যায় স্থানীয় ও পথচারীদের। বাঁকড়া গ্রামের শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীদেরকে এই ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজটি পার হয়ে প্রতিদিন কুঁন্দুড়িয়া পাইথালী নৈকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যেতে হয়। মরিচ্চাপ নদীর উপর এ ব্রীজের একপ্রান্ত কুঁন্দুড়িয়া, চুমুরিয়া ও অন্য প্রান্তে বাঁকড়াসহ অন্যান্য গ্রাম অবস্থিত। এসব গ্রামের সাধারণ মানুষকে দৈনন্দিন প্রয়োজনে একাধিকবার এ ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজটি নদী পারাপারের জন্য ব্যবহার করতে দেখা গেছে। এবিষয়ে শোভনালী ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা আবু বকর সিদ্দিকের সাথে কথা বললে তিনি জানান, জীবনের ঝুঁকি জেনেও বিকল্প না থাকায় আমাদেরকে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজকি ব্যবহার করতে হচ্ছে। তিনি আরও জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইয়ানুর রহমানের সাথে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেছেন। ইউএনও মহোদয় বিষয়টি উপর মহলে অবগত করা হয়েছে বলে জবাব দেন। এমতাবস্থায় কোন বড় ধরনের দুর্ঘটনার আগে দ্রুত ব্রীজটি স্থায়ী ভাবে সংস্কার অথবা বিকল্প ব্যবস্থা তৈরীর জন্য যথাযথ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।