আশাশুনি প্রতিনিধি \ আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নে বসত বাড়ির ৩০ থেকে ৪০ ফুটের মধ্যেই ভূ-গর্ভ থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করতে দেখা গেছে। এঘটনায় উলেখিত বসত বাড়িসহ ভূমি ধ্বসের শঙ্কায় রয়েছে পাশ্ববর্তী এলাকাবাসী। ইউনিয়নের চেচুয়া গ্রামের আব্দুল বারী সরদারের ছেলে ইসমাইল হোসেন বহু বছর থেকে ভিটাবাড়িতে বসতঘর বেধে বসবাসের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছেন। একই গ্রামের মৃত: আহম্মদ আলি গাজীর ছেলে বালু ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম তার ড্রেজার মেশিন দিয়ে ইসমাইল সরদারের বাড়ির পাশে এড. শম্ভু সিংহ এর জমির পূর্ব পাশ থেকে গত ২মাস আগে ভূ-গর্ভের বালি উত্তোলন শুরু করে। উত্তোলনকৃত এ বালু রফিকুল ও আবু সাইদ কিনে নিয়ে আনুলিয়া টু প্রতাপনগর মেইন সড়কের পাশে পুকুর ভরাট করতে থাকেন। এসময় বালু উত্তোলনের অনুমতি নিয়ে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে বলে সবাইকে জানায়। দীর্ঘ দুই মাস অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করা হলেও প্রশাসনকে কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। গত শুক্রবার ড্রেজার মেশিন ইসমাইলের বসতঘরের প্রায ৪০ ফুট দূরে এবং ভিটে বাড়ির প্রায় ১০ফুট দূরে বসানো হয়। প্রতিকার করলে তারা থামেনি বরং তাদেরকে নানা ভাবে হুমকী ধামকী দেওয়া হয় বলে জানান। যে কোন মূহুর্তে ধ্বশের কারনে ক্ষতির মুখোমুখি অবস্থান করা ইসমাইলের বসতবাড়িসহ এলাকাবসীর ক্ষতির মুখে ফেলে ভূ-গর্ভের বালি উত্তোলন রোধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা। এব্যাপারে আনুলিয়া ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা জতিন্দ্রনাথ সরকারের সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। এখনই ঘটনাস্থলে গিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইয়ানুর রহমান জানান, আমি ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নিতে বলছি। এভাবে সরকারি বিধি নিষেধ ও আইন অমান্য করে অবৈধ ভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন প্রকিরোধ না করা হলে উপজেলা ব্যাপী ভূগর্ভের অবৈধ বালু উত্তোলনের প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে দাবি করেন সচেতন মহল।