স্টাফ রিপোর্টার ঃ সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে শ্রমিকদের মধ্যে মারামারিকে কেন্দ্র করে পণ্য লোড-আনলোডসহ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। পরে আলোচনার মাধমে সব কিছু স্বাভাবিক হয়। ব্যবসায়ীরা শ্রমিকদের দাবিকৃত লেবার বিল দিতে রাজি না হওয়ায় ও শ্রমিক কর্তৃক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মচারিদের মারধরের ঘটনায় বন্দরের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা জানান গত শনিবার অযৌক্তিক দাবিতে হঠাৎ করে পণ্য খালাস বন্ধ করে দেন শ্রমিকরা। সন্ধ্যায় ভারত থেকে বন্দরে আসা একটি ফলবাহী ট্রাক থেকে কিছু পণ্য অন্য ট্রাকে আনলোড করছিলেন আন্দোলন না মানা কিছু শ্রমিক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মচারী। এ সময় অপর পক্ষের শ্রমিকরা তাদের উপর হামলা করেন। ওই ঘটনায় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের দুইজন সদস্য গুরুতর আহত হন। এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত আমরা কলম বিরতির ঘোঘণা দিয়েছি। ভোমরা স্থলবন্দরের শ্রমিক ইউনিয়নের এক পক্ষের নেতারা জানান, আমরা পণ্য খালাস বাবদ ট্রাক প্রতি টাকা বৃদ্ধির দাবি করে কাজ বন্ধ রেখেছিলাম। কিন্তু সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্মচারীরা আমাদের কিছু শ্রমিককে সঙ্গে নিয়ে কয়েকটি ট্রাক থেকে নিজেরাই পণ্য খালাস শুরু করেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা তাদের বাধা দিলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি এজাজ আহম্মেদ স্বপন বলেন, ট্রাক প্রতি পণ্য খালাসে লেবারের বিলের টাকা বৃদ্ধির দাবি করে আসছিল। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে টাকা বৃদ্ধি করা হলেও একটি পক্ষ কাজ বন্ধ করে দেন। অপর পক্ষ সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্মচারীদের দিয়ে তাদের নিজেদের কাঁচামাল আনলোডের জন্য চেষ্টা করে এসময় ওই পক্ষ তাদের বাধা দিয়ে এক পর্যায় ব্যাপক মারপিট করে। এর মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কা জনক। তবে আলোচনার মাধ্যমে তাদের সমস্যা সমাধান করা হয়েছে। এখন সব কিছু স্বাভাবিক রয়েছে। ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী নওশাদ দিলওয়ার রাজ জানান, শনিবার বিকেলে বন্দরের ভেতরে মাল আনলোড করছিল সিএন্ডএফ এর কর্মচারি। এসময় শ্রমিকদের একটি পক্ষ ভিতরে প্রবেশ করে এজেন্ট কর্মচারীদের মারধর করে কাজ বন্ধ করে দেয়। ওই ঘটনায় গতকাল সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্মচারীরা কলম বিরতী ঘোষনা করে। এসময় বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। তবে বিকালে আলোচনার মাধ্যমে ভোমরার সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক করা হয়েছে। এ বিষয়ে সদর থানার ওসি এসএম কাইয়ুম দৃষ্টিপাতকে জানান ভোমরা বন্দরে ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোন পক্ষ অভিযোগ দায়ের করিনি। তবে বিকাল থেকে বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।