এফএনএস: জ¦ালানি তেলে কমিশন, ট্যাংকলরি ভাড়া কমানোর প্রতিবাদ এবং তিন দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট পালন করছেন জ¦ালানি তেল ব্যবসায়ীরা। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে খুলনার পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল ডিপো থেকে জ¦ালানি তেল উত্তোলন এবং ১৫ জেলায় সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, জ¦ালানি তেলের কমিশন বৃদ্ধি, ট্যাংকলরি ভাড়া বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবি জানিয়ে আসছি। অথচ গত সোমবার রাতে তেলের দাম কমানোর পাশাপাশি আমাদের কমিশন ও ট্যাংকলরি ভাড়া কমানো হয়েছে। এর প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে তেল উত্তোলন বন্ধ রেখেছে ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা জানান, গত সোমবার রাতে জ¦ালানি তেলের দাম ৫ টাকা কমানো হয়েছে। সেইসঙ্গে জ¦ালানি তেলের কমিশন লিটারে ১৩ পয়সা এবং ট্যাংকলরি ভাড়া ৩ পয়সা কমানো হয়েছে। এর প্রতিবাদে সকাল থেকে হঠাৎ জ¦ালানি তেল উত্তোলন বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছে তারা। ফলে খুলনাসহ ১৫ জেলায় ট্যাংকলরিতে তেল পরিবহন ও সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। জ¦ালানি তেল পরিবেশক সমিতির খুলনা বিভাগীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোড়ল আবদুস সোবাহান বলেন, ব্যবসা করার কোন পরিবেশ নেই। এখনই ৯টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নেওয়া লাগছে। আরও অনেকেই লাইসেন্স নিতে বলছেন। এত লাইসেন্স কেন প্রয়োজন, কি কাজে লাগবে। এ ছাড়া তেলের কমিশন বাড়ানো এবং ট্যাংকলরি ভাড়া বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছি আমরা। অথচ তেলের দাম যখন বাড়লো তখন কমিশন সেই পর্যায়ে বাড়ানো হয়নি। অথচ ৫ টাকা দাম কমানোর সঙ্গে কমিশন ও ট্যাংকলরি ভাড়া কমানো হয়েছে। সরকারের নীতি নির্ধারক পর্যায় কি করছে, কি ভাবছে আমাদের বোধগম্য নয়।