শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন

দীর্ঘ তিম মাস বন্ধের পর আজ পর্যটক ও জেলে বাওলিয়দের জন্য খুলছে সুন্দরবন

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

বুড়িগোয়ালিনী (শ্যামনগর) প্রতিনিধিঃ টানা তিন মাস সুন্দরবনে প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকার পর আজ ১লা সেপ্টেম্বর থেকে জেলে, বাওলিয় ও পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে সুন্দরবন। এখন ব্যাস্ত সময় পার করছে উপকূলের জেলে বাওলিয়রা, শেষ মুহুতে নৌকা-ট্রলারের প্রস্তুতির কাজ করছে অভাব অনাটনে পড়ে থাকা বনজীবিরা। কষ্ট ভুলে আবারো নতুন উদ্যমে ফিরছেন মাছ, কাঁকড়া, মধু আহরণে সুন্দরবনে, একুই সাথে বনজীবী ও পর্যটন নির্ভর উপকূলীয় মানুষেরা পর্যটকদের জন্যে সুন্দরবনের ভিতরে কলাগাছিয়া সাজানো হচ্ছে নানান রুপে এবং বাহিরে আকাশ নীলা ইকোটুরিজ্যাম সেন্টার চলছে মেরামতের কাজ। বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জে মাছ ও কাঁকড়া আহরণের জন্য বোর্ড লাইসেন্স সার্টিফিকেট (বিএলসি) রয়েছে ২ হাজার ৯০০টি। এর মধ্যে নবায়ন হয়েছে ২৭৯৬টি। বিভিন্ন কারণে বাতিল হয়েছে ১০৪টি। মধু মোম সংগ্রহের বিএলসি ৩০০টি, গোলপাতা ২৮টি, ও লবণপানির রয়েছে ১০টি বিএলসি। এর আগে গত ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত মন্ত্রিপরিষদের নির্দেশে সুন্দরবনে সবার প্রবেশের অনুমতি বন্ধ রেখেছিল বন মন্ত্রণালয়। মৎস্য অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, শ্যামনগর উপজেলায় নিবন্ধিত ২৩ হাজার জেলে-বাওয়ালী রয়েছেন। এদের মধ্যে সমুদ্রে মৎস্য আহরণকারী জেলে রয়েছে ৭৯৫জন। উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী এলাকার কাঁকড়া আহরণকারী জেলে আলামিন, মুন্সীগঞ্জের সনঞ্জয়, গাবুরার সহিদ, চুন কুড়ির মোজাম বলেন, সারাজীবন সুন্দরবনে মাছ, কাঁকড়া ও মধু আহরণ করে সংসার চালিয়ে আসছি। তিন মাস পাস বন্ধ থাকায় আমার পরিবারের ওপরে আর্থিক প্রভাব পড়েছে, সুন্দরবন খুলে দেওয়াই আর সংসার চালাতে কষ্ট হবে না। নীলডুমুর ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম বলেন, তিন মাস সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকায় জেলে বাওয়ালী পর্যটক কেউই সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারেনি। তাই জেলে বাওয়ালীদের সাথে ট্রলার মালিক ও শ্রমিকদেরও দুর্দিনে কেটেছে। কারণ এখানকার ট্রলারগুলো শুধুই পর্যটকদের জন্য। বুড়িগোয়ালিনীতে আছে অন্তত ১০০টি পর্যটক ট্রলার মুন্সীগঞ্জে ৫০টা ট্রলার, ট্রলার মালিকরা ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা লোন নিয়ে সেগুলো মেরামত করছে। এখন তাদের প্রত্যাশা-ঘুড়ে দাঁড়ানোর। মুন্সীগঞ্জ টহল ফাড়ির স্টেশন কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউর রহমান বলেন, বর্ষা মৌসুমে সুন্দরবনের অধিকাংশ প্রাণীর প্রজনন হয়। এই সময়ে যাতে বন্যপ্রাণীদের কোনো ধরণের সমস্যা না হয়, সে জন্য সবাইকে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়ে থাকে। তিনি আরও বলেন, পর্যটনের ওপর এবার আমরা বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছি। তবে দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে জলজপ্রাণীর অস্তিত্ব সংকটের বিষয়টি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com