বাংলাদেশের অভ্যন্তরের নদ নদী এবং উক্ত নদ নদী দেশের আর্থ সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশ পরিস্থিতিকে শক্তিশালী অবস্থানে নিয়েছে। সময়ের ব্যবধানে আর বাস্তবতার নিরিখে আমাদের দেশের অভ্যন্তর ভাগ দিয়ে প্রবাহমান নদ নদী গুলো অর্থনৈতিক জোনের পাশাপাশি যাতায়াত ও যোগাযোগের অবারিত চিত্র হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আমাদের দেশের যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় অতীতের ন্যায় বর্তমান সময় গুলোতেও নদ নদী কাঙ্খিত ভূমিকা পালন করে চলেছে। দেশের নদ নদী অববাহিকা এলাকায় নগর সভ্যতার সৃষ্টি হয়েছে। নদী পথের যাতায়াতের সহজ লভ্যতার কারন হেতু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ব্যবসায়িক কেন্দ্রের ও সৃিষ্ট হয়েছে। দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ নদীতে মৎস্য সম্পদ আরোহন পরবর্তি জীবন জীবিকা নির্বাহ করে চলেছে। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় নদ নদী গুলো চাষাবাদে ও ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলেছে। বিশেষ ভাবে কপোতাক্ষ মোহনায় কৃষি উৎপাদন সাতক্ষীরাকে শষ্য ভান্ডারে পরিনত করেছে। সাতক্ষীরার সীমান্ত নদী গুলো জেলার দুঃখ হিসেবে বিবেচিত হলেও কপোতাক্ষ শষ্য ইছামতি নদী বাংলাদেশ এবং ভারতকে বিভক্ত করে রেখেছে। এই নদী বছরের পর বছর ভাংছে তো ভাংছে আর সীমান্ত নদী ভাঙ্গনের কারন দেশের ভূ-খন্ড হারিয়ে যায়, দেশের মানচিত্র পরিবর্তন এবং পরিবর্ধন হয়। সাতক্ষীরা সীমান্তের ইছামতি নদীর পাড়ের লোকবসতি প্রতিনিয়ত বসতবাড়ী হারানোর ভয়ে দিন যাপন করে। ফসলি জমি, বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা এবং খেলার মাঠ ইছামতি গর্ভে বিলীন হয়েছে। জেলার অপর সীমান্ত নদী কালিন্দী ও রায়মঙ্গল অব্যাহত ভাবে ভাঙ্গন কবলিত। এক কথায় নদ নদী সাতক্ষীরাকে যেমন সুখ, সমৃদ্ধি, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, কৃষি উৎপাদন, যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থার নিশ্চয়তা দিয়েছে অনুরুপ ভাবে বহু জন বসতিকে বিবর্ণ করেছে। অবিলম্বে নদী ভাঙ্গন রোধ করতে হবে এবং অত্যন্ত পরিকল্পিত ভাবে ভাঙ্গন রোধ কাজ করতে হবে।