স্টাফ রিপোর্টার \ সাতক্ষীরা শহরের বাইপাস থেকে মাথাবিহীন যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে লাশ উদ্ধারের কয়েক ঘণ্টা পর নিথর দেহের পরিচয় মিলেছে। গতকাল সকাল ৮টায় শহরের বকচরা বাইপাস সড়ক সংলগ্ন মৎস্য ঘের থেকে সদর থানা পুলিশ মাথাবিহীন দেহ উদ্ধার করে। মাথাবিহীন দেহটা চা দোকানী ইয়াছিন আলীর (৩৮)। সে শহরের সুলতানপুর কাজীপাড়ার বাসিন্দা শাহাবাজ মোলার পুত্র। বকচরা গ্রামের কয়েকজন জানান, সকালে তারা মাছের ঘেরে আসছিলেন। এ সময় রাস্তায় জুতা ও তাজা রক্ত দেখতে পায়। পরে সড়কের পাশে লাগানো ঘাসের নিচে মৎস্য ঘেরে একটি গলা কাটা লাশ নজরে আসে। এ সময় সদর থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মাথা বিহীন লাশ উদ্ধার করে। তবে বাইপাস এলাকায় মাথাবিহীন নিথর দেহের কথা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে বিপুল সংখ্যক উৎসুক জনতা জড়ো হয় ঘটনাস্থলে। নিহতের কন্যা জেসমিন আক্তার দৃষ্টিপাতকে জানান, তার পিতা একজন চা বিক্রেতা। শহরের পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকায় চায়ের দোকান রয়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় বাসা থেকে বের হয়ে দোকানে যায়। রাতে তার মায়ের সাথে কথা হয়েছে সে শহরের বাইপাস এলাকায় একটি ঘর বাঁধার জন্য যাবে। বাসায় ফিরতে অনেক দেরি হবে। কিন্তু সারা রাত বাবা আর বাসায় আসেনি। এরপর থেকে বাবার ফোন বন্ধ ছিল। সকালে লোক মারফত জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমার পিতার লাশ শনাক্ত করি। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি দৃষ্টিপাতকে জানান, বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। এখানে জেলা পুলিশের সকল ইউনিট কাজ করছে। প্রথমে তার পরিচয় পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে পরিচয় মিলেছে। সে একজন অসহায় দিনমজুর চা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে। এটি একটি নির্মম হত্যাকাণ্ড। ঘটনার সাথে জড়িতদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করা হবে। দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য জেলা পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এছাড়াও অতিঃপুলিশ সুপার অপস্ কনক কুমার, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আসাদুজ্জামান চৌধুরী, সদর ওসি এসএম কাইয়ুম, ডিবি ওসি বাবুল আক্তার সহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি কাইয়ুম জানান, গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তার মাথা পাওয়া যায়নি। ইতিমধ্যে অভিযান শুরু হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা উদঘাটনের চেষ্টা করছে পুলিশ। এ ঘটনায় সদর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে।