এফএনএস বিদেশ : করোনার ধাক্কা সামলে বেশ ভালোমতোই ঘুরে দাঁড়িয়েছে ভারতের অর্থনীতি। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফের বিভিন্ন দেশের জিডিপির পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারত এখন পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। আগে এ স্থানটি ব্রিটেনের দখলে ছিল। অর্থনীতির শক্তির বিচারে ব্রিটেনকে ছাপিয়ে ভারতের ওপরে উঠে আসা আদতে দেশটির শক্তিশালী অর্থনীতির পরিচয় বহন করছে। আইএমএফের বর্তমান তালিকায় ব্রিটেনের অবস্থান ষষ্ঠ স্থানে। খবর ব্লুমবার্গের। তালিকাটি তৈরি করতে ২০২১-এর শেষ তিন মাসের হিসাবকে আমলে নিয়েছে আইএমএফ। সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্চ ত্রৈমাসিকে ভারতীয় অর্থনীতির আকার ছিল ৮৫৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার। এ সময়ে ব্রিটেনের অর্থনীতির আকার ছিল ৮১৬ বিলিয়ন ডলার। ত্রৈমাসিকের শেষ দিনে ডলারের বিনিময় হার ধরে হিসাবটি করা হয়েছে। প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে অর্থনীতির আকার বাড়ার হারে সর্বোচ্চ হচ্ছে ভারতের জিডিপি। দেশটির অর্থনীতি বছরে ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ হারে বেড়েছে। যদিও রিজার্ভ ব্যাংক ইন্ডিয়ার পূর্বাভাস থেকে এ হিসাব কিছুটা কম। অর্থনীতিবিদরা অনুমান করছেন, ভারতের অর্থনীতি এ বছর ৭ শতাংশ বাড়বে। এমনটি হলে বিশ্বের পঞ্চম অর্থনীতির দেশটি সামনের বছরগুলোতে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে যেতে পারে। বিশ্ব অর্থনীতিতে এই মুহূর্তে ভারতের আগে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান এবং জার্মানি। এক দশক আগেও এই তালিকায় ভারতের অর্থনীতির অবস্থান ছিল ১১তম স্থানে। ব্রিটেনের এই অবনমন এমন এক সময়ে হলো যখন দেশটিতে রাজনৈতিক টানাপোড়েন একেবারে তুঙ্গে। গত কয়েক মাস ধরে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে বরিস জনসনের উত্তরসূরি কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে আছেন কনজারভেটিভ পার্টির বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস এবং একই দলের সাবেক অর্থমন্ত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক। ধারণা করা হচ্ছে, তালিকা প্রকাশের পর ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হবেন।