স্টাফ রিপোর্টার ঃ স্ত্রীর দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০এর ১১(গ) ধারায় দায়ের করা মামলায় কলেজ শিক্ষক স্বামীর জামিন না মঞ্জুর করে গত এক সেপ্টম্বর জেল হাজতে পাঠিয়েছে বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। মামলা সূত্রে জানাযায় দক্ষিন পলাশপোল এলাকার আবুল হোসেন সরদারের কন্যা সারাবান তাহেরার স্বামী আশাশুনি উপজেলার নাকতাড়া গ্রামের দাউদ আলী গাজীর পুত্র কলেজ শিক্ষক খায়রুল ইসলাম যৌতুকের দাবীতে মারধোর ও নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। দশ বছর বিবাহীত জীবনে বার লক্ষ টাকা যৌতুক গ্রহন করলেও পুনরায় পাঁচলক্ষ টাকা যৌতুকের জন্য পীড়াপীড়ি নির্যাতন মারধোর শুরু করে। এক পর্যায়ে নির্যাতনের ভয়াবহতায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। তালা উপজেলার সুভাষিনী ডিগ্রী কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক খাইরুল ইসলাম ইতিপূর্বে আপোষ মিমাংসার শর্তে জামিনে মুক্ত হয়ে আপোষ মিমাংসা না করে মামলা প্রত্যাহার করতে হুমকি দিতে থাকলে স্ত্রী সাতক্ষীরা সদর থানায় সাধারন ডাইরী করেন যার নং ১৭৩ তাং-৩/৪/২২ইং। একদিকে হুমকি, অন্যদিকে ২৩/৩/২২ তারিখে মিমাংসার শর্তে পনের দিনের অন্তর্বতীকালীন জামিন গ্রহন করে এবং ২৩/৩/২২ তারিখে আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন ১৪৮/২২নং মামলা দায়ের করেন। মামলার বাদী এবং যৌতুক নির্যাতনের শিকার সারাবান তাহেরা বর্তমান সময়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। তিনি জানান খায়রুল ইসলামের অপকর্মের সহযোগী আত্মীয় স্বজনরা তাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে।