বাজার ব্যবস্থা দিনে দিনে অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। আর এ কারনে কৃষিই একমাত্র অবলম্বন। বর্তমান বর্ষা মৌসুমে কাঙ্খিত বৃষ্টিপাতের দেখা নেই আর বৃষ্টিহীনতার কারন হেতু আমন চাষে যেমন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে অনুরুপ ভাবে সবজি চাষে ও শঙ্কা বিরাজ করছে। বৃষ্টির অভাব হেতু সবজি উৎপাদনে ঢস নেমেছে এ জন্য বাজারে বর্তমান সময়ে সবজির মূল্য আকাশ চুম্বী। সহজেই ধারনা করা সম্ভব যে সবজি বাজারে যেন আগুন ধরেছে। সাতক্ষীরা বরাবরই শষ্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত। এই জেলার উৎপাদিত খাদ্য শষ্য সহ সবজি জেলার ২২ লক্ষাধীক মানুষের চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য এলাকায় বিক্রি করে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হয়। বাংলাদেশের সর্বাপেক্ষা মৎস্য উৎপাদনকারী জেলা হিসেবেও সাতক্ষীরার পরিচিতির শেষ নেই। বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত সাদা সোনা খ্যাত চিংড়ী শিল্প ব্যাপক পরিমান উৎপাদিত হয় সাতক্ষীরা। সব বিষয়টি নির্ভর করে প্রকৃতি আর আবহাওয়ার স্বাভাবিকতার উপর সেই প্রকৃতি বর্তমান সময়ে চরম হতে চরমতর নিষ্ঠুরতা দেখিয়ে চলেছে। বৃষ্টির অভাবে সবজি উৎপাদন নেই যে কারনে সবজির অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি। উদাহরন হিসেবে বলা যায় মিষ্টি কুমড়ার স্বাভাবিক মূল্য প্রতি ১৫ টাকা বর্তমান সময়ে সেই কুমড়ার মূল্য কেজি প্রতি ৩০/৩৫ টাকা, ছোট আকারের লাউ ৪০/৪৫ টাকা, কাঁচকলা ৪০/৪৫ টাকা প্রতি কেজি, আলু ২৭/২৮ টাকা এক কথায় সবজির বাজার চড়াও। বৃষ্টি হীনতার বিরুপ প্রভাব আগামী দিন গুলোতে বিশেষ ভাবে দেখা যাবে বলে কৃষকরা আশঙ্কা করছেন কারন আমন উৎপাদনে ঘাটতি হবে যে কারনে জেলা খাদ্য ঘাটতিতে পড়বে, এখণও সময় যাইনি, অবিলম্বে বৃষ্টিপাতের দরকার, বৃষ্টিই পারে স্বাভাবিকতা ও উৎপাদনে গতি ফিরতে।