বাংলাদেশ মৎস্য প্রধান দেশ হিসেবে পরিচিত। আবহমানকাল যাবৎ আমাদের দেশের আবহাওয়া, জলবায়ূ, ভূ-প্রকৃতি যেমন কৃষি এবং কৃষি উপযোগী অনুরুপ ভাবে মৎস্য চাষের অপার সম্ভাবনা ময়। এদেশের বিল, খাল জলাশয় মৎস্য চাষের উর্বর এলাকা, আমাদের দেশ অতি প্রাচীন কাল থেকে মৎস্য সম্পদে পূর্ণ। নিকট অতীত হতে এদেশে চিংড়ী চাষ হয়ে আসছে। আমাদের দেশে উৎপাদিত চিংড়ী আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানীর মাধ্যমে প্রতি বছর দেশ শত শত কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করে থাকে। চিংড়ী উৎপাদনের মাধ্যমে দেশ যেমন প্রচুর পরিমানে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করছে অনুরুপ ভাবে বিশ্বের দেশে দেশে বাংলাদেশ বিশেষ ভাবে নিজেকে পরিচিতি ঘটিয়েছে। অপার সম্ভাবনাময় চিংড়ী শিল্প সা¤প্রতিক সময় গুলোতে চরম দুঃসময় অতিক্রম করছে। গত কয়েক বছর যাবৎ নানান ধরনের প্রাকৃতিক দূর্যোগ দুর্বিপাকের কারনে চিংড়ী শিল্পে বিপর্যয় ঘটেছে। বর্তমান মৌসুমে বৃষ্টিপাতহীনতার কল্যানে এই শিল্প মারাত্মক ভাবে বিপর্যয়ের মুখে। অনাবৃষ্টির কারনে চিংড়ীর বৃদ্ধি সংকুচিত হয়েছে। এবং মড়ক শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিন যাবৎ সাতক্ষীরার বাস্তবতায় চিংড়ী ঘের গুলোতে চিংড়ীর মড়ক লক্ষ্য করা যাচ্ছে। জেলায় চিংড়ীর পাশাপাশি বিপুল পরিমান সাদা প্রজাতির মৎস্য চাষ হয়ে থাকে উক্ত সাদা প্রজাতির মৎস্য চাষের সাথে উলেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ জড়িত এবং বিপুল পরিমান অর্থ বিনিয়োগ করা। বিধায় সাদা মাছ নির্ভর অর্থনীতি সাতক্ষীরাকে বিশেষ ভাবে বিশেষায়িত করেছে। কিন্তু বর্তমান মৌসুমে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সাদা মাছ চাষেও ছন্দ পতন ঘটতে চলেছে। এই মুহুর্তে বৃষ্টিপাতই কেবল মাত্র সাতক্ষীরার মৎস্য চাষকে এবং মৎস্য শিল্পকে এগিয়ে নিতে পারে। জেলার বিপুল সংখ্যক শ্রমজীবি মানুষ মৎস্য চাষের সাথে সংশ্লিষ্ট। আমাদের দেশের সার্বিক ও সামগ্রীক উন্নয়নে মৎস্য শিল্পের অবদান কম নয়, বিধায় এই শিল্পকে রক্ষা করতে হবে।