এফএনএস স্পোর্টস: বুন্দেসলিগার পুঁচকে দল বোচুমের কাছে ৪-২ গোলের হতাশাজনক পরাজয় বরণ করতে বাধ্য হয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। বুধবার রেড বুল সালজবার্গের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নক আউট ম্যাচকে সামনে রেখে এই ধরনের পরাজয় দলের আত্মবিশ্বাসে নি:সন্দেহে চিড় ধরাবে। আর তাইতো মিডফিল্ডার জসুয়া কিমিচ সতর্ক করে দিয়ে দলের মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বোচুমের মাঠে ম্যাচের প্রথমার্ধেই চার গোল হজম করে বায়ার্ন। অথচ রবার্ট লিওয়ানদোস্কির ৯ মিনিটের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল জার্মান চ্যাম্পিয়নরা। ১৯৭৫ সালের পর এই প্রথমবারের মত বুন্দেসলিগার কোন ম্যাচে প্রথমার্ধে চার গোল হজম করলো বায়ার্ন। এবারের লিগে নতুন উন্নীত বোচুম যোগ্য দল হিসেবেই কাল বায়ার্নকে হতবাক করে দিয়েছে। ম্যাচ শেষে হতাশ কিমিচ বলেছেন, ‘এবারের মৌসুমে এটাই আমাদের সবচেয়ে বাজে পারফরমেন্স। আমাদের নিজেদের কাছেই নিজেদের মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন করতে হবে, এটা আদৌ বায়ার্নের প্রত্যাশার সাথে যায় কিনা। সৌভাগ্যবশত : এটা বুন্দেসলিগার ম্যাচে হয়েছে, সামনে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যাচ রয়েছে।’ ২০০৪ সালের পর থেকে বোচুমের কাছে পরাজিত হয়নি বায়ার্ন। সেপ্টেম্বরে দুই দল যখন সর্বশেষ একে অপরের মোকাবেলা করেছিল বায়ার্ন ৭-০ গোলে বোচুমকে বিধ্বস্ত করেছিল। লিওয়ানদোস্কির গোলের পর মনে হয়েছিল অন্যান্য সব ম্যাচের মত স্বাভাবিক নিয়মেই চ্যাম্পিয়নরা এগিয়ে যাবে। কিন্তু ১৪ মিনিটে ক্রিস্টোফার আন্টোই-আয়েজির গোলে সমতা ফেরানোর পর বোচুমকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ৩৮ মিনিটে পেনাল্টি স্পট থেকে স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন জার্গেন লোকাডিয়া। ডায়োট উপামেকানোর হ্যান্ডবলে পেনাল্টি উপহার পায় বোচুম। দুই মিনিট পর কোনাকুনি শটে ক্রিস্টিয়ান গাম্বোয়া ব্যবধা ৩-১’এ নিয়ে যান। বিরতির ঠিক আগে হোল্টম্যানের আরো একটি দূর পালার শটে বড় ব্যবধানের জয় নিশ্চিত হয় বোচুমের। ৭৫ মিনিটে লিওয়ানদোস্কি এক গোল পরিশোধ করলেও তা মৌসুমের চতুর্থ পরাজয় এড়াতে পারেনি। এই ম্যাচের মাধ্যমে ছোট দল বোচুম একটা বার্তাই সকলের কাছে পৌঁছে দিয়েছে চ্যাম্পিয়ন দলকেও এভাবে পরাজিত করা যায়। এই পরাজয়ের পরে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের থেকে ৯ পয়েন্ট এগিয়ে টেবিলের শীর্ষেই অবস্থান করছে বায়ার্ন। এদিকে দিনের অপর ম্যাচগুলোতে ধুকতে থাকা উল্ফসবার্গ ও বরুসিয়া মনচেনগ্ল্যাডবাখ সময়মত জয়ের মাধ্যমে রেলিগেশন জোন থেকে রক্ষা পেয়েছে। এইনট্র্যাখট ফ্র্যংকফুর্টকে ২-০ গোলে পরাজিত করেছে উল্ফসবার্গ। আর অগাসবার্গকে ৩-২ গোলে পরাচিজত করেছে গ্ল্যাডবাখ।