আব্দুল মাজিদ কৃষ্ণনগর থেকে \ কালিগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বাজার কৃষ্ণনগর। এটি বালিয়াডাংগা বাজার নামেও সর্বাধিক পরিচিত। বাজারটিতে প্রায় ৫ শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার লোকের সমাগম ঘটে এই মম্ফসল বাজারটিতে। উপজেলার বিষ্ণুপুর, দক্ষিন শ্রীপুর, মৌতলার আংশিক এবং পাশ্ববর্তী শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ি, আটুলিয়া সহ আশাশুনি উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের ব্যবসায়ী সহ সাধারণ মানুষেরা তাদের ব্যবসায়িক নিত্যপূর্ণ জিনিসপত্র ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য আগমন করে এই বাজারটিতে। এ বাজার থেকে প্রতিদিন ব্যবসায়ীরা তাজা শাক সবজি রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় রপ্তানি করে থাকে। এ ছাড়া এলাকাটিতে পোল্ট্রি শিল্পের সম্প্রসারণ চোখে পড়ার মত। পোল্ট্রি ফিড পরিবহন ও ডিম মাংস বিপননে মস্ফসল এই এলাকাটির বেশ সু-খ্যাতি রয়েছে।বাজারটি কালিগঞ্জ উপজেলা সদর হতে প্রায় ১৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। কালিগঞ্জ সদর হতে কলেজ ও কুশুলিয়া ভায়া বিষ্ণুপুর এর মধ্য দিয়ে কৃষ্ণনগর বাজার পর্যন্ত যে কার্পেটিং সড়কটি রয়েছে সেটি দীর্ঘদিন যাবত সংষ্কার না হওয়ায় ভারী মালবাহী ট্রাক তো দূরের কথা সাধারণ মানুষের চলাচল দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। বাজারটির সাথে শ্যামনগর ও কালিগঞ্জ সড়কের যোগাযোগের কারণে, শ্যামনগর উপজেলার ভুরুলিয়া ইউনিয়নের খানপুর মোড় হতে বালিয়াডাংগা বাজার পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক ব্যবহার করে ব্যবসায়ীরা তাদের অধিকাংশ পণ্য যানবাহনে আমদানি রপ্তানি করে থাকেন। দীর্ঘদিন যাবত এই সড়কটিও সংষ্কার অভাবে ও কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টির কারনে যানবাহন চলাচলে অনাপযোগী হয়ে পড়লে বাজারের ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষেররা চরম দূর্ভোগের শিকার হতে থাকে। বিভিন্ন দপ্তরে ব্যবসায়ীদের দৌড়ঝাঁপে সাম্প্রতিক সময়ে কালিগঞ্জ অংশের কৃষ্ণনগর বাজার হতে চাতরা ব্রিজ পর্যন্ত ২ কিলোমিটার রাস্তা সংষ্কার হলেও রাস্তাটির শ্যামনগর অংশের খানপুর হতে চাতরা ব্রিজ পর্যন্ত ২ কিলোমিটার রাস্তার সংষ্কার তো হয়নি বরং ব্যবসায়ীদের সেচ্ছাশ্রমে কয়েকবার সংষ্কারের পরেও সাম্প্রতিক ভারী বর্ষায় রাস্তাটির খোদাবক্স এর পুকুর এর নিকট ২০ মিটারের মত অংশ সম্পূর্ণ ভেংগে গর্তের মধ্য পড়ে যাওয়ায় ও বেশ কয়েকটি স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় ভারি যানবাহন চলাচল একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে। যার ফলে পন্যবাহী যানবাহন বাজারে পৌঁছানো নিয়ে ব্যবসায়ীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। বিষয়টি নিয়ে বাজার ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ অনেক দৌড়ঝাপ করেও কার্যকর কোন উদ্যোগ দেখতে না পেরে নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে সংষ্কারের মাধ্যমে সাময়িক যানবহন চলাচলের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেয়। ১৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে সড়কটির চাতরা ব্রিজ হতে খানপুর পর্যন্ত ৬টি স্থানে বড় বড় গর্ত ও ভেংগে যাওয়া অংশ ব্যবসায়ীরা নিজ উদ্যোগে সংষ্কার করেছেন। বিশিষ্ট পোল্ট্রি ফিড ব্যবসায়ী মনি সংকার, নূর ইসলাম, উজ্জ্বল অধিকারী, সুতা ব্যবসায়ী খোকন মীর ও সাজাহান কবীর শানু বলেন, তারা প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ ও নিজেরা শ্রমের মাধ্যমে রাস্তাটির খুব খারাপ যায়গা গুলো ইট ও বালু দিয়ে সংষ্কার করেছেন। তবে সে সংষ্কারও বেশিদিন টিকবেনা।সেহেতু ব্যবসায়ী মহল সহ এলাকাবাসী অতিদ্রুত রাস্তাটির পূর্ণ সংষ্কার করে বৃহৎ এই বাজারটির ব্যবসায়ীক কার্যক্রমের প্রতিবন্ধকতা দূর করে কালিগঞ্জ, শ্যামনগর ও আশাশুনী উপজেলার বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জনদূর্ভোগ লাঘব করার জন্য জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।