এফএনএস: গাড়ি চালানোর আগে চালকদের ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পাশপাশি তাদের অবশ্যই নিয়োগপত্র দেওয়ার দিতে হবে। আগামী দুই মাসের মধ্যে মালিক-শ্রমিকরা বসে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করবে। এ বিষযে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, বিষয়টি অনেক দিন ধরেই ঝুলে রয়েছে। বার বার বলার পরও কার্যকর করা যাচ্ছিল না। এবার জোর দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সড়ক পরিবহন আইন সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে। বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘আমরা অনেক আগে থেকেই ডোপ টেস্টের কথা বলে আসছি। সরকারি পর্যায়ে এটা চালু করতে যাচ্ছি। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনা রয়েছে। আমরা এবার গাড়ির চালকদেরও এর আওতায় নিয়ে আসছি। যখন বিআরটিএর লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে তখন ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা শুধু লাইসেন্স দেওয়ার সময়ই নয়, গাড়ি যখন চালাবে তখন ডোপ টেস্ট করে গাড়ি চালাবে- এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ড্রাইভার ও সুপারভাইজারদের নিয়োগপত্র দেওয়ার কথা বার বার বলেছি। কিন্তু এতদিন সেটা কার্যকর করা যাচ্ছিল না। এখন আমরা এটাতে জোর দিয়েছি। আগামী দুই মাসের মধ্যে মালিক-শ্রমিকরা বসে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেবেন। যদি না করেন তবে তিন মাসে গিয়ে আমরা রাস্তায় নিয়োগপত্র চেক করব।’ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, সড়কে যে যানবাহন চলাচল করে সেগুলোর লাইফ টাইম এবং নিয়ম কানুন দেখার জন্য বিআরটিএ চেয়ারম্যানকে আহŸায়ক করে একটি কমিটি গঠন করে দেওয়ার প্রস্তাব এসেছে বৈঠকে। সেখানে সরকারি-বেসরকারি উভয় পর্যায়েই থাকবে। আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘আমরা দেখছি সারা বাংলাদেশে খুব পুরনো গাড়ি চলাচল করে। যেগুলো দুর্ঘট্নার বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আরও সিদ্ধান্ত হয়েছে নির্ধারিত র্টামিনাল ছাড়া কোনো রকমের সার্ভিস চার্জ নেওয়া যাবে না। আবার বিভিন্ন জেলায় গাড়ি ঢুকলে নানাধরনের কর আদায় করা হয়। সেগুলো যত্রতত্র করা যাবে না। কর আদায় হবে নির্ধারিত টার্মিনালে। ড্রাইভিং লাইসেন্স যাতে সহজে পায় সে বিষয়েও দিক নির্দেশনা ছিল বৈঠকে।’