এফএনএস: যশোরের শার্শা উপজেলায় এক এসএসসি পরীক্ষার্থী (১৭) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হাসান আলী ও মাসুদ নামে দুই তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত আরও তিনজন পলাতক রয়েছে। গ্রেপ্তাররা হলেন- উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের বড় নিজামপুর গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী শাহাজাহান মলিকের ছেলে হাসান আলী (২০) ও একই গ্রামের রিজাউল করিমের ছেলে মাসুদ (২০)। এ ছাড়া পলাতকরা হলেন- একই ইউনিয়নের কন্দপপুর গ্রামের মিজান চৌকিদারে ছেলে নুরুজ্জামান (২৭), ফটিকের ছেলে সাকিব (২৮) ও জাহানের ছেলে নাসিম হোসেন (২৮)। স্কুলছাত্রীর স্বজনরা জানান, ওই ছাত্রীর মা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকায় বাড়ি ফাঁকা ছিল। এ সুযোগে গত বুধবার রাত ১১টার দিকে হাসান আলী তার বন্ধু মাসুদকে নিয়ে ওই ছাত্রীর ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করেন। এ সময় নুরুজ্জামান, সাকিব ও নাসিম মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করেন। একপর্যায়ে হাসান ও মাসুদকে মারধর করে আটকে রেখে ওই তিনজন ছাত্রীকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন আটক হাসান আলী ও মাসুদকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এই বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম রেজা বিপুল বলেন, বিষয়টি আমি জানি না। তবে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে এটা সাংবাদিকদের মাধ্যমে শুনেছি। এর বেশি কিছু জানি না। শার্শা থানার ওসি মামুন খান বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলার পর ওই দুজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ওসি আরও বলেন, ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীকে পুলিশ প্রহরায় পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরীক্ষার পর তার জবানবন্দির জন্য যশোর আদালতে ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পলাতক তিনজনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।