প্রতাপনগর (আশাশুনি) প্রতিনিধি \ প্রতাপনগর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় শারদীয় দুর্গাপূজা চলছে আনন্দঘন উৎসবে। শিল্পের হাতের নকশায় এবং রং তুলির ছোঁয়ায় তৈরী হয়েছে প্রতাপনগর কর্মকার পাড়া সার্বজনীন পূজা মন্দিরে। দেবী দূর্গার প্রতিমা। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সার্বিক সহযোগিতায় দেশের অন্যান্য স্থানের মতো উৎসব মুখর শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে প্রতাপনগরের দুর্গাপূজায়। ইতিপূর্বে মন্দিরে প্রতিমা তৈরীর সকল কার্যক্রম ও মন্ডপের সাজসজ্জার কাজ শেষ করে গত ১লা অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এদিনই মহাষষ্ঠীতে অনুষ্ঠিত হবে দূর্গাদেবীর ষষ্ঠ্যাদি কল্পারম্ভ ও ষষ্ঠী বিহিত পূজা এবং সায়ংকালে দেবীর বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাস। ২ অক্টোবর মহাসপ্তমীতে নবপ্রত্রিকা প্রবেশ, সপ্তমী বিহিত পূজা এবং দেবীর গজে আগমন। ৩ অক্টোবর মহাষ্ঠমীতে দূর্গা দেবীর অষ্টমী বিহিত পূজা। আজ ৪ অক্টোবর মহানবমীতে বিহিত পূজা শেষে আগামী কাল ৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে বিহিত পূজা সমাপন ও বিসর্জন, বিজয়া দশমী কৃত্য ও দেবীর নৌকায় গমন এর মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এবছরের শারদীয় দূর্গা পূজা শেষ হবে বলে জানান প্রতাপনগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অমিত সোম, সম্পাদক মনোজ সোম। রং তুলির ছোঁয়ায় দশভুজা ষষ্ঠীতে পাবে জীবন্ত রূপ। দেবী সেজে উঠবে অপরূপ সাজে। শঙ্খ উলুধ্বনি আর মঙ্গল সঙ্গীতে দেবী দূর্গাকে বরণ করে নেবে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। জাতির মঙ্গল কামনায় সব অশুভ শক্তি বিনাশে প্রতিবছর মহালয়ার দিনে দেবী দূর্গা শ্বশুরালয় থেকে পিতৃগৃহে আগমন করেন। আসুরিক শক্তির বিনাশ আর পার্থিব শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি লাভের জন্য হিন্দু সম্প্রদায় যুগ যুগ ধরে মা দূর্গার আরাধনা করে আসছেন। গতকাল স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ পূজা মন্দির পরিদর্শন করেছেন। এদিকে, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল জনসাধারণ পূজা বাজারে উপস্থিত হয়ে পূজাকে জাঁকজমকপূর্ণ করে তুলেছে।