সাতক্ষীরার ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের সাথে মিলেমিশে একাকার গুড় পুকুর মেলা। কয়েকশত বছরের ঐতিহ্য এই মেলা সাতক্ষীরার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে সুসংহত ও সমৃদ্ধ করেছে। আশ্বিন মাসের শেষে আর ভাদ্র মাসের শুরুতে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। মা মনসা পূজার মাধ্যমে গুড়পুকুর মেলার সূচনা হয়। বর্তমান সময়ে সাতক্ষীরায় চলছে গুড়পুকুর মেলা, শহরের শহিদ আঃ রাজ্জাক পার্কে দেশের বিভিন্ন এলাকা হতে ব্যবসায়ীরা পণ্য সামগ্রী নিয়ে মেলায় এসেছে। গুড়পুকুর মেলার চিরায়ত ঐতিহ্য নাগোর দৌলা ও নৌকা। বহুবিধ পন্যের উপস্থিতি মেলাকে বিশেষ ভাবে আলোকিত করলেও পন্য সামগ্রীর অতিরিক্ত মুল্য ক্রেতা সাধারনের জন্য বিশেষ অস্বস্তির কারন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। দীর্ঘ দিনের ঐতিহ্য গুড়পুকুর মেলায় আগতরা তাই অধিক মূল্যে প্রয়োজনীয় ও সৌখিন সামগ্রী ক্রয় করতে হিমসিম খাচ্ছে। বর্তমান মেলার পন্যের যেমন ঘাটতি নেই অনুরুপ লোক সমাগম চলছে সমান তালে ক্রেতা সাধারন সাধ এবং সাধ্যের বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে কাঙ্খিত পন্যটি ক্রয়ে ব্যর্থ হচ্ছে। সাতক্ষীরা হতে প্রকাশিত এবং বহুল প্রচারিত দৈনিক দৃষ্টিপাত গতকাল” গুড়পুকর মেলায় পণ্য সামগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্য” অস্বস্তিতে ও প্রতারনার শিকার ক্রেতারা। কর্তৃপক্ষের তদারকি অপরিহার্য” শিরোনামে একটি জনগুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে পণ্য সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি নৌকা চড়া দুই মিনিট ও নাগোর দোলা চড়া প্রতিজন ত্রিশটাকা যা কেবল অতিরিক্ত মূল্য নয় অনাকাঙ্খিত মুল্যও বটে। অভিযোগ উঠেছে মেলায় বিভিন্ন ধরনের খাবারের মান যথাযথ ভাবে সংরক্ষন করা হচ্ছে না। পঁচাবাসি খাবারের পাশাপাশি একই খাবার দ্বিতীয় বার ভাজা হচ্ছে, ইতিমধ্যে উক্ত পঁচাবাসি ও মানহীন খাবারের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকার অভিযান চালিয়েছে। অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকি ও হস্তক্ষেপের প্রয়োজন।