কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি \ সাতক্ষীরা কলারোয়া উপজেলার দমদম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গত ৮ অক্টোবর শনিবার সকালে ৪জন কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষা সংক্রান্ত পাতানো নিয়োগ বোর্ডের কর্মকর্তা সহ স্কুলের প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে ৬০ লক্ষ টাকার নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ তোলেন স্থানীয় হেলাতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম, কেড়াগাছি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রুহুল কুদ্দুস, ইউপি সদস্য বেলাল হোসেন, নিয়োগ পরীক্ষার প্রার্থী মিলন হোসেনসহ আওয়ামী অংগ সংগঠনের নেতাকর্মী জনসাধারন। পরীক্ষা গ্রহণের পূর্বে নিয়োগ বোর্ডের কর্মকর্তা ও জনসাধারণের সাথে সংঘর্ষের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। নিয়োগ পরীক্ষায় এমন দুর্নীতির অভিযোগে টানা তৃতীয়বারের মতো বন্ধ হয়ে যায় স্কুলের এই নিয়োগ পরীক্ষা বোর্ড। পরে জনতার রোষানলে নিয়োগ পরীক্ষা ফের স্থগিত এমন সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ও থানা পুলিশের সহযোগিতায় কর্মকর্তা কর্মকর্তা ও স্কুল শিক্ষকদের উদ্ধার করে কলারোয়া থানা পুলিশ। এমন সংবাদ প্রকাশের পর গত ১০ অক্টোবর সোমবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বাংলাদেশ, ঢাকা এর আওতায় কলারোয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হামিদকে স্মারক নম্বর ৩৭.০২.০০০০.১০১.১৯.০১২.১৬.২৫৮৮০ এর বলে ভোলা সদর উপজেলায় বদলির আদেশ জারি করে এবং একই স্মারকে চলতি বছর আগামী ১৭ অক্টোবরের যোগদানের নির্দেশ দেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক জানান, গত এক যুগ ধরে উপজেলায় অবৈধ অর্থ-বাণিজ্য করেছে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ। তার বদলিতে খুশি শিক্ষক মহল।