আলমগীর হোসেন, বিষ্ণুপুর থেকেঃ কালিগঞ্জ বিষ্ণুপুর ইউনিয়ানের ঘরে ঘরে বাড়ছে চোখ ওঠা রোগীর প্রাদুর্ভাব। গত এক সপ্তাহ ধরে ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি গ্রামেই এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। পরিবারের কোন এক সদস্যকে চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত হলে পরদিন অন্য সদস্যারাও আক্রান্ত হচ্ছেন। চোখের ছোঁয়াচে রোগ নিয়ে মানুষ ভীড় করছে হাসপাতাল,কমিউনিটি ক্লিনিক ও গ্রাম্য চিকিৎসকদের কাছে। কিন্তু রোগীরা ব্যবস্থাপত্র নিয়ে ফার্মেসিতে গেলেও মিলছে না চোখের ড্রপ। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগীরা। এদিকে ড্রপের সাথে সাথে চাহিদা বেড়েছে কালো চশমার। কারন কোন ব্যক্তি চোখ ওঠা ব্যক্তির চোখের দিকে তাকালেই তিনিও আক্রান্ত হচ্ছেন এই ছোঁয়াচে রোগে। ঔষধ ব্যবসায়ীদের দাবি কোম্পানী গুলোতে অর্ডার দিলেও চাহিদার তুলনায় মিলছে না চোখের ড্রপ। মুকুন্দপুর গ্রামের আমিনুর রহমান তাহার শিশু কন্যা সুমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে আসলে তিনি বলেন, প্রথমে এক চোখ লাল হয়, পরে দুই চোখ লাল হয়, চোখ দিয়ে পানি পড়ে ও চোখ চুলকায়। পরের দিন চোখ ফুলে ওঠে। তখন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থাপত্র নিয়ে অনেকগুলো ফার্মেসী ঘুরে একটি ড্রপ পেলাম, এবং বেশিরভাগ ফার্মেসিগুলোতে ড্রপ মিলছে না।