এফএনএস স্পোর্টস: টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম পর্বের নিজেদের প্রথম ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ৩১ রানে হারিয়ে শুভসূচনা করলো জিম্বাবুয়ে। আসরের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় খেলায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নি। গতকাল সোমবার হোবার্টের বেলেরিভ ওভালে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলে স্কোর বোডে কোন রান যোগ করার আগেই সাজঘরে ফিরে যান রেজিস চাকাভা।এরপর ওয়েসলি মাধেভেরে ও ক্রেইগ এরভাইন মিলে ৩৭ রানের জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন। দলীয় ৩৭ রানে ১৯ বলে ২২ রান করে আউট হন ওয়েসলি মাধেভেরে। একই রানে ১২ বলে ৯ করে ক্রেইগ এরভাইন আউট হলে আবারো ধাক্কা খায় জিম্বাবুয়ে। এরপর ক্রিজে আসেন সিকান্দার রাজা। সেন উইলিয়ামস ও রাজা মিলে ৪২ রানের জুটি গড়ে চাপ কিছুটা সামাল দেন। তবে, দলীয় ৭৯ রানে ১১ বলে ১২ রান করে সাজঘরে ফিরে যান উইলিয়ামস। তবে, একপাশে নিজের সাবলীল ব্যাটিং করতে থাকেন সিকান্দার রাজা। মিল্টন শুম্বাকে নিয়ে গড়েন ৫৮ রানের জুটি। সেইসঙ্গে তুলে নেন নিজের ব্যক্তিগত অর্ধশতক। দলীয় ১৩৭ রানে মিল্টন শুম্বা আউট হলেও ব্যাটিং তান্ডব চালিয়ে যান রাজা। এরপর ক্রিজে এসে দ্রুতই আউট হন রায়ান বার্ল। এরপর ক্রিজে আসেন লুক জঙ্গু। তাকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস শেষ করে আসেন সিকান্ডার রাজ। লুক জঙ্গু ১০ বলে ২০ করে অপরাজিত থাকেন আর রাজা ৪৮ বলে ৮২ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে ২০তম ওভারের শেষ বলে আউট হন। আয়ারল্যান্ডের পক্ষে জশুয়া লিটল নেন সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট। আর মার্ক এডাইর ও সিমি সিং নেন ২টি করে উইকেট। ১৭৫ রান তাড়া করতে নেমে জিম্বাবুয়ের মতো আয়ারল্যান্ডও প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলে উইকেট হারায়। স্কোর বোডে কোন রান যোগ না করেই সাজঘরে ফিরে যান ওপেনার পল স্টারলিং। ইনিংসের এরপর তৃতীয় ওভারে আবারও উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। দলীয় ১৪ রানে ১১ বলে ১১ রান করে আউট হন লরকান টাকার। একই ওভারের নতুন ক্রিজে আসা হ্যারি টেক্টর ৪ বলে ১ রান করে আউট হলে চাপে বড় ধাক্কা খায় আইরিশরা। সেখান থেকে কার্টিস ক্যামফার ও জর্জ ডকরেল মিলে ৪২ রানে জুটি গড়ে চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে, দলীয় ৬৪ রানে জর্জ ডকরেলকে সাজঘরে ফেরান ব্যাটিংয়ে তান্ডব চালানো সিকান্দার রাজা। ব্যক্তিগত ২০ বলে ২৪ রানে সাজঘরে ফিরে যান যান জর্জ ডকরেলকে। গ্যারেথ ডিলানি ও কার্টিস ক্যামফার মিলে আরও ২৭ রান যোগ করে দলের রান কিছটা বাড়িয়ে নেন। কিন্তু দলীয় ৯১ রানে ২২ বলে ২৭ রান করে আউট হন কার্টিস ক্যামফার। এরপর গ্যারেথ ডিলানি দলীয় ১০২ রানে ২০ বলে ২৪ রান করে আউট হলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় আয়ারল্যান্ড। এরপর দ্রুতই আরও দুই উইকেট হারায় আইরিশরা। শেষ উইকেট জুটিতে ব্যারি ম্যাককার্থি ও জশুয়া লিটলের ৩২ রান কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান করতে সক্ষম হয় আয়ারল্যান্ড। ব্যারি ম্যাককার্থি ১৬ বলে ২২ ও জশুয়া লিটল ১১ বলে ৭ রানে অপরাজিত থাকে। জিম্বাবুয়ের পক্ষে ব্লেসিং মুজারাবানি নেন সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট। এ ছাড়া টেন্ডাই চাতারা ওঁ রিচার্ড এনগারাভা নেন ২টি করে উইকেট।