এফএনএস: ফাল্গুনের প্রথমদিনই বিদায় নিয়েছে মৌসুমের শেষ শৈত্যপ্রবাহ। কিছুটা উষ্ণতায় হচ্ছে বসন্তবরণ। এখন তাপমাত্রা বাড়ার ধারা অব্যাহত থাকবে। বিলীন হতে থাকবে শীতের অনুভ‚তি। একই সঙ্গে আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকে বৃষ্টির দেখা মিলতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে শৈত্যপ্রবাহ হয়। বিচ্ছিন্নভাবে দেশের তিনটি স্থানে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে থাকায় তাকে শৈত্যপ্রবাহ বলছে না আবহাওয়া দপ্তর। গত রোববার পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, রাজশাহী, পাবনা, যশোর, কুষ্টিয়া এবং মৌলভীবাজার জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল। গতকাল সোমবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে। এ ছাড়া সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ২ এবং চুয়াডাঙ্গায় ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত রাত থেকে রাজধানীতে শীতের অনুভ‚তি অনেকটাই কমে গেছে। সকালে ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, শৈত্যপ্রবাহ বিদায় নিয়েছে। এখন ক্রমান্বয়ে তাপমাত্রা বাড়বে। আগামী কয়েকদিন আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে আগামী ২০/২১ ফেব্র“য়ারির দিকে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। মৌসুমের শেষ শৈত্যপ্রবাহ বিদায় নিয়েছে, এটা কী বলা যায়? এর জবাবে তিনি বলেন, আশা করা যায়। এই মুহূর্তে তাপমাত্রায় কোনো অস্বাভাবিকতা দেখছেন কি না- এ বিষয়ে ওমর ফারুক বলেন, মোটাদাগে বড় কোনো পরিবর্তন চোখে পড়ছে না। গতকাল সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এ সময়ে সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে আগামী তিনদিনের মধ্যে দিন ও রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।