এফএনএস: বাজারে চিনির সংকট ও ঊর্ধ্বমূল্যের কারণে সৃষ্ট অস্থিরতার মধ্যেই সরকার নির্ধারিত দামে প্যাকেটজাত চিনি বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে দেশের অন্যতম চিনি সরবরাহকারী দুই প্রতিষ্ঠান সিটি ও দেশবন্ধু গ্রæপ। কোম্পানি দুটির বরাত দিয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজধানীতে ৯৫ টাকায় চিনি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে এ দুই কোম্পানি। সরকার প্রতি কেজি খোলা চিনি ৯০ টাকা আর প্যাকেটজাত চিনির কেজি ৯৫ টাকা নির্ধারণ করেছে। আজ বুধবার থেকে রাজধানীর ছয়টি স্পটে সরকারি দামে চিনি বিক্রি করবে দেশবন্ধু গ্রæপ। তবে সিটি গ্রæপ স্পট না জানালেও গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে তারাও চিনি বিক্রি করবে। বুধবার সকাল থেকে দেশবন্ধু গ্রæপ মতিঝিল, সচিবালয়, প্রেস ক্লাব, জিরো পয়েন্ট, নিউমার্কেট ও কারওয়ান বাজার এলাকায় নির্ধারিত দামে (প্রতি কেজি ৯৫ টাকা) চিনি বিক্রি করবে। চিনির উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, ডিলার, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকের একদিন পরই দেশবন্ধু গ্রæপ এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। এদিকে ভোক্তা অধিদপ্তররের মহাপরিচালক এএইচএম সফিউজ্জামান বলেন, দেশের সর্বত্র সরকার নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী চিনি সরবরাহ ও বিক্রি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গত সোমবার থেকে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ ও উন্মুক্ত স্থানে জনসাধারণের কাছে ভর্তুকি মূল্যে চিনি বিক্রির কার্যক্রম শুরু করেছে সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবি। সংস্থাটির ট্রাক সেলে প্রতি কেজি ৫৫ টাকা দরে চিনি কিনতে পারছেন সাধারণ মানুষ। এজন্য টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডেরও প্রয়োজন হচ্ছে না। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে দেখা গেছে, এক কেজি চিনি কিনতে ভোক্তাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভর্তুকি দামে টিসিবির এই চিনি বিক্রি চলবে। গত সোমবার জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে এক মতবিনিময় সভায় ব্যবসায়ী ও মিল মালিকেরা জানিয়েছিলেন, গতকাল মঙ্গলবার থেকে বাজারে চিনির সংকট থাকবে না। সরকার নির্ধারিত দাম, অর্থাৎ প্রতি কেজি খোলা চিনি ৯০ টাকা আর প্যাকেটজাত চিনি ৯৫ টাকায় বিক্রি করা হবে। কিন্তু ব্যবসায়ীদের প্রতিশ্রæতি অনুযায়ী বাজারে নির্ধারিত দামের চিনি সরবরাহ হতে দেখা যায়নি।