বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দূর্যোগ এবং দূর্বিপাকের দেশ হিসেবে পরিচিতি প্রতি বছরই আমাদের দেশের উপর প্রকৃতি তার হিংস্র, ছোবলে কাঁদিয়ে থাকে। নিকট অতীতে আইলা, সিডর, আম্ফানের পর এবং সিত্রাং দেশের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত করেছে। প্রকৃতির নির্মম নিষ্ঠুরতায় বিবর্ণ আমাদের উপকূল। চট্টগ্রাম, ভোলা, বরিশাল ব্যাপক ক্ষতির মুখে, আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে সৃষ্টি হওয়া নিন্মচাপটি শক্তিশালী হয়ে ব্যাপক শক্তি সঞ্চয় করে উপকূলীয় জনপদে আছড়ে পড়ে। সোমবার সন্ধ্যায় প্রথম আঘাত হানে উপকূলীয় জেলা ভোলায় তারপর চট্টগ্রাম ও বরিশালে দেশের উপকূলীয় জেলা হিসেবে সাতক্ষীরার পরিচিতির শেষ নেই। এই জেলার শ্যামনগর, আশাশুনি, কালিগঞ্জ ও দেবহাটা বারবার প্রকৃতির রুদ্ররোষের শিকার হয়। এবারও সাতক্ষীরা সাত নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় ছিল। রবিবার মধ্য রাত হতে সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকা শ্যামনগর সহ আশপাশের এলাকায় বৃষ্টিপাত শুরু হয় দিন যতই গড়াতে থাকে বৃষ্টিপাত ততোই বৃদ্ধি পেতে থাকে। বিকালে বৃষ্টিপাত সকাল অপেক্ষা জোরে শুরু হয় ও দমকা হাওয়া বইতে থাকে। জনসাধারনের মাঝে আতঙ্ক ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। সাতক্ষীরা প্রশাসন ঘুর্ণি ঝড় মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির ও পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান উপকূলীয় এলাকা শ্যামনগরের দুর্গম এলাকায় অবস্থান নিয়ে দুর্যোগ প্রস্তুতি সভা ও তদারকি করে। আমাদের প্রস্তুতি ছিল যথাযথ, সাতক্ষীরার জনসাধারন সত্যিকার অর্থে বড় ধরনের প্রাকৃতিক দূর্যোগ হতে নিজেদের কে রক্ষা করতে সক্ষম হলো। আন্তর্জাতিক বিশ্বে বাংলাদেশ দুর্যোগ প্রবন দেশ হিসেবে বিশেষ ভাবে পরিচিতি যেমন পেয়েছে অনুরুপ ভাবে এই দেশ দুর্যোগ প্রতিরোধ ও প্রস্তুতিতে যে সফলতা ও প্রমান হয়েছে। যে কোন দূর্যোগে মনোবল না হারিয়ে সাহস সঞ্চয় করে আত্মবিশ্বাসে বলিয়ান হয়ে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহন করতে হবে।