এস এম জাকির হোসেন শ্যামনগর থেকে \ শ্যামনগরের এক যুবককে মধুর খামারে নিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের মরাগাং গ্রামের আব্দুল আলিমের পুত্র রিয়াজ (১৭) কে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়ে বুধবার রাতে মৃতদেহ গ্রামের বাড়িতে পাঠায়। স্থানীয়রা জানান, হত্যার বিষয়টি ধামাচাপা দিতে নিহতের পরিবারকে আর্থিক ভাবে টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করা হয়েছে। ঘটনা সূত্রে জানাযায় গত ৪ মাস আগে একই এলাকার নজু সরদারের পুত্র বাবুর মাধ্যমে রিয়াজ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানার মৌমাছির খামার মালিক সবুজের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানার শেখের কান্দি এলাকায় কর্মচারী হিসাবে মাসিক চুক্তিতে যায়। হঠাৎ খামারে থাকা কর্মচারীরা একটি ঘরে গলায় দড়ি দেওয়া অবস্থায় রিয়াজের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় বলে রিয়াজের বাড়িতে খবর দেয়। ঐদিন রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর থানায় না জানিয়ে রিয়াজের লাশ গ্রামের বাড়িতে পাঠায়। রিয়াজের লাশ তার গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর পর থেকে বাবু ও সবুজের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এলাকার স্থানীয়রা জানান, রিয়াজের লাশ যখন এ্যাম্বুলেন্স থেকে নামানো হয়, তখন তার পিঠে এবং বুকে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। গলায় দড়ি দিয়ে মারা গেলে গলায় দাগ থাকার কথা কিন্তু আমরা কোন দাগ দেখতে পাইনি। তাকে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রিয়াজকে পিটিয়ে মেরে ফেলার পরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। যারা তাকে কাজে নিয়ে গিয়েছিল, তারা রিয়াজকে পিটিয়ে মেরেছে আমরা এর বিচার চাই। এবিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর থানা অফিসার ইনচার্জ নুর আলম জানান, আমরা বৃহস্পতিবার সকালে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করেছি। তাৎক্ষণিকভাবে জানা গেছে, সে আত্মহত্যা করেছে। যদি তাকে হত্যা করা হয় তাহলে ময়না তদন্তের পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে শ্যামনগর থানা অফিসার ইনচার্জ কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে দৈনিক দৃষ্টিপাতকে জানান, মরাদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার অর্থাৎ আজ ময়নাতদন্ত পাঠানো হবে।