বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
১৭ বছর পর কারামুক্ত বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম পিন্টু প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার ফোনালাপ শেখ হাসিনা পরিবারের দুর্নীতি: ৮ মেগা প্রকল্পের সব নথি তলব দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে শেখ হাসিনাকে ফেরত আনতে কূটনৈতিক চ্যানেলে চেষ্টা করা হচ্ছে: চিফ প্রসিকিউটর ঢাকা—খুলনা রুটে নতুন ট্রেন চলাচল শুরু, উচ্ছ্বসিত যাত্রীরা যারা গণহত্যায় জড়িত ছিল তাদের বিএনপিতে নেওয়া হবে না: মির্জা ফখরুল তরুণদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে চায় নির্বাচন কমিশন দেশের তিন পরিবেশ আদালতে আইনি বাধায় পর্যাপ্ত মামলা নেই সীমান্ত থেকে ১৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ

বৃষ্টি কম হওয়া ও দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির কারণে \ গ্রামাঞ্চলের ছাতার কারিগররা বর্তমানে ভাল নেই

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শনিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২২

এম এম নুর আলম \ পঞ্জিকার মত অনুযায়ী এখন বর্ষাকাল শেষ হয়ে গেলেও এবছর প্রচন্ড ভাবে বর্ষার দেখা মেলেনি। তবে মাঝে মাঝে চলেছে রোদ আর বৃষ্টির লুকোচুরি। আর এ সময় দরকার হয় ছাতা ঠিক করা মিস্ত্রীদের। এ সমস্ত মিস্ত্রীরা বছরের সাত আট মাস অলস সময় কাটালেও বর্ষাকালে কিছুটা তাদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। আর বর্ষা মৌসুম এলে ঘরে থাকা ছিড়া ফাঁটা ছাতার সংস্কারের প্রয়োজন পড়ে বিধায় কে কার ছাতা আগে ঠিক করবে এমনও প্রতিযোগিতা বেড়ে যায়। বর্ষাকালে সবচেয়ে প্রয়োজীয় বস্তুটির নাম ছাতা। মুশুল ধারে কিংবা রিমঝিমিয়ে বৃষ্টি আরম্ভ হলে গন্তব্য স্থলের কোথাও আটকা পড়লে ছাতাওয়ালাকে চাচা বা ভাই সম্ভোধন করে একটু নিরাপদ স্থানে যেতে হয়। তবে এবছর প্রকৃতির নিয়মে তেমন বৃষ্টি না হওয়ায় বৃষ্টি থেকে রেহাই পেতে বা ঘরের বাইরে চলাচল করার জন্য ছাতার তেমন প্রয়োজন হয়নি। ফলে বর্তমানে গ্রামগঞ্জের ছাতা সেলাই করা বা মেরামত করা কারিগরদের দিন ভালো যাচ্ছে না। অন্যান্য বছর যে কয়জন আছে এ সময়টায় তাদের কাজের চাপ একটু বেশী থাকে। ছাতার মালিকদের প্রতিযোগিতা শুরু হয় কে আগে ছাতা সেলাই কিংবা যন্ত্রাংশের মেরামত করে নেবে। আশাশুনি উপজেলার ছোট বড় হাট বাজারে ছাতা মেরামতের কারিগরের দেখা মেলে। এ সমস্ত কারিগররা স্থায়ী দোকানদারদের সামনে বসে কাজ করেন এবং কাজ শেষ করে ঘরে ফিরেন। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ ছাতার কারিগর হিসাবে ও গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে ছাতা মেরামত করেন কেউ কেউ। ছাতা বৃষ্টিতে যেমন মানুষ ব্যবহার করেন, তেমনি গ্রীষ্মের প্রখর রোদেও অনেকে ব্যবহার করেন। প্রখর রোদে ও বৃষ্টির ধারা থেকে মুক্তির এ ছোট প্রিয় বস্তুর প্রয়োজন কত তা মৌসুমেই বলে দেয়। আগে কাঠের হাতলের ছাতা থাকলেও বর্তমানে ছাতার হাতলও কাপড়ে এসেছে বৈচিত্র। ছোট সাইজের ছাতা স্কুল ব্যাগ, ভ্যানেটি ব্যাগ কিংবা প্যান্টের পকেটে রাখা যায়। যত বৈচিত্রময় ছাতা হউক ছাতা উল্টে গেলে, কাপড় ছিড়লে বা সেলাই খুললে ছাতার কারিগর ছাড়া উপায় নেই। বর্ষাকালে ছাতার ব্যবহার বাড়ে তেমনি কারিগরদের কাজের রেট ও বাড়ে। আশাশুনির বিভিন্ন বাজারের ছাতার কারিগরদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, প্রতিটি জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। ছাতার কাপড়, ছাতার স্প্রিংসহ প্রভৃতি কিনতে হচ্ছে চড়াদামে। সারা বছর বসে থাকতে হয়। এ সময়টা কিছুটা কাজ হলেও সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে। আর এ বছর তো বৃষ্টি কম হওয়ায় সময় আরও খারাপ গেছে। গড়ে প্রতিদিন ৩০০/৪০০ টাকা রোজগার হলেও খরচ খরচা বাদে সংসার চালানো বড়ই কঠিন। তাছাড়া মানুষ এখন পুরনো ছাতা ঠিক না করে বাজারে ছাতার দাম চড়া হলেও বৃষ্টি কিংবা রোদে রক্ষা পেতে ছাতা কিনতে কার্পণ্য করছেন না। ফলে আমাদের কাজও এখন অনেক কমে গেছে। সে কারণে আমাদের এ পেশা ধরে রাখা দিন দিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com