বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। আবহমানকাল যাবৎ আমাদের দেশের আবহাওয়া, মাটি, পানি জলবায়ূ সবই কৃষি সহায়ক। আন্তর্জাতিক বিশ্বে তাই প্রতিনিয়ত এবং বারবার আমাদের দেশ কৃষি নির্ভর দেশ হিসেবে নিজেকে পরিচিত ও প্রতিষ্ঠিত করেছে। বিগত দিন অপেক্ষা বর্তমান সময়ে চাষাবাদে অতি সঞ্চার ঘটেছে। উন্নতবীজ, সার যন্ত্রচালিত চাষাবাদ ব্যবস্থা উৎপাদন অতীতের যে কোন সময় অপেক্ষা অধিকতর বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের দেশের অতীতের জনসংখ্যা এবং বর্তমানের জনসংখ্যার তারতম্য বিদ্যমান। বিগত দিন গুলোতে জনসংখ্যা যেমন ছিল সা¤প্রতিক বছর গুলোতে সে অপেক্ষা বেশী, আর তাই বাস্তবতা হলো উৎপাদন যেমন পূর্বের অপেক্ষা বেশী হচ্ছে অনুরুপ ভাবে জনসংখ্যা ও বৃদ্ধি পেয়েছে এবং প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিধায় আমাদেরকে আমাদের কৃষক সমাজকে কৃষি উৎপাদনে অধিকতর অগ্রগামী হতে হবে। জনসংখ্যা একদিকে বৃদ্ধি পাচ্ছে অন্যদিকে আবাদী জমির পরিমান দিনে দিনে হ্রাস পাচ্ছে। আমাদের দেশের কৃষি সহায়ক জমিতে বসতবাড়ী সহ নতুন নতুন স্থাপনা নির্মিত হচ্ছে কম হয়ে যাচ্ছে আবাদী জমির পরিমান, কয়েক বছর আগেও যে জমিজমা ছিল খাদ্য শষ্য তথা ধান, গম, এর উৎপাদনকারী বর্তমান সময়ে সেই জায়গা নগরায়নের আধুনিক তম চিত্র। আমাদের দেশের কৃষি উৎপাদনকে যাথযথ ও কাঙ্খিত করনের ক্ষেত্রে অবশ্যই কোন জমি অনাবাদী ও পতিত রাখা যাবে না। বসতবাড়ী, সড়ক ও মহাসড়কের আশপাশ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ সরকারী ও বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে চাষাবাদ করতে হবে। বৃক্ষরোপন করতে হবে, রবিশষ্য এবং শাক সবজির উর্বর ক্ষেত্রে পরিনত করতে হবে। খাদ্যশষ্য, রবিশষ্য ও সবজির উৎপাদন যথাযথ ও কাঙ্খিত না হলে ভোক্তা তথা ক্রেতা সাধারনরা তাদের চাহিদা অনুযায়ী খাদ্য শষ্য হতে বঞ্চিত হবে যে কারনে বাজারে সরবরাজ ও চাহিদার ক্ষেত্র বিপরীত মুখি হতে বাধ্য। আমাদের দেশের সড়ক মহাসড়ক, বসতবাড়ী সহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারী অফিস এলাকার জমিজমা পতিত ও অনাবাদী থাকছে। উৎপাদনকে কাঙ্খিত লক্ষে নিতে অবশ্যই কোন ধরনের অনাবাদী জায়গা রাখা যাবে না উৎপাদন ও চাষাবাদের আওতায় আনতে হবে।