আহম্মাদ উল্যাহ বাচ্চু\ কালিগঞ্জ বাসির দীর্ঘদিনের দাবীর প্রেক্ষিতে বসন্তপুরে অবশেষে বহু কাংঙ্খিত সেই স্বপ্নের বসন্তপুর নৌ-রুট সংশ্লীষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে গেজেট আকারে বাস্তবায়নের জন্য প্রকাশিত হওয়ায় আনন্দের বন্য বইছে। নৌ-রুটের বিষয়ে ভারত ও বাংলাদেশের সাথে বানিজ্যিক গুরুত্ব বিবেচনায় তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক রাসেল ২০২০ সালের ১৫ নভেম্বর নৌ-রুট পুনরায় চালু জন্য সাবেক জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোস্তফা কামালকে বিষয়টি অবহিত করেন। জেলা প্রশাসক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পত্রের মাধ্যমে বিষয়টি তুলে ধরলে তিনি অনুশাসনের জন্য সুপারিশ করে সংশ্লীষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেন। সেই থেকে প্রক্রিয়াধীন ছিল নৌ-রুট বাস্তবায়নের কাজ। অবশেষে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে গেজেট প্রকাশিত হওয়ায় সচেতন মহলের মাঝে আনন্দ ও উৎসব শুরু হয়েছে। চলতি বছরের জুন মাসে ঢাকা বি.আই.ডব্লিউ.টি.এ ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সার্ভে টিম নৌ-রুটের বাস্তব চিত্র দেখতে বসন্তপুর এলাকা পরিদর্শনে আসেন। এবং সন্তোষ প্রকাশ করে প্রতিবেদন দাখিল করলে নৌ-মন্ত্রী সুপারিশ করেন। এরপর আইন মন্ত্রনালয় হয়ে বিভিন্ন দপ্তর ঘুরে সর্বশেষ সরকারি ভাবে গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। উলেখ্য ২০২০ সালের ৮ ফেব্র“য়ারি প্রেসক্লাব ও শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে রাজা প্রতাপাদিত্য বিক্রমাদিত্য ও বসন্ত রায়ের স্মৃতি বিজড়িত রাম জননী ভবনে পিকনিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভূতপূর্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক রাসেলকে ঐতিহ্যবাহী এই এলাকার নৌ রুট পুনরায় চালু ও বসন্তপুরে একটি পার্ক নির্মাণের প্রস্তাব দেন মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, কবি, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি ও শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীবৃন্দ। নৌ-রুট গেজেট আকারে প্রকাশিত হওয়ায় আনন্দের খবর ছড়িয়ে পড়লে দুপরে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মিষ্টি মুখ করানো হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহিমা সুলতানা বুশরা, সহকারী কমিশনার (ভুমি) রোকনুজ জামান বাপ্পি, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা অর্ণা চক্রবর্তী, সাহিত্যিক ও প্রবন্ধকার অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক গাজী আজিজুর রহমান, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চু, যুগ্ম সম্পাদক এম, হাফিজুর রহমান শিমুল, তথ্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এসএম, আহম্মাদ উল্যাহ বাচ্ছু প্রমুখ।