এফএনএস স্পোর্টস: টি-২০ বিশ্বকাপে বাঁচা মরার লড়াইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে বৃষ্টি আইনে ৩৩ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান। গতকাল বৃহস্পতিবার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। ১৮৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ওভারের শেষ বলে দলীয় ১ রানে ৫ বল খেলে রানের খাতা না খুলেই আউট হন কুইন্টন ডি কক। ককের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন রাইলি রুশো। তবে তিনিও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। দলীয় ১৬ রানে ৬ বলে ৭ রান করে আউট হন রুশো। এরপর তৃতীয় উইকেট জুটিতে এইডেন মার্করামকে সঙ্গে নিয়ে ৪৯ রানের জুটি গড়ে শুরুর চাপ সামাল দেন প্রোটিয়া অধিনায়ক বাভুমা। তবে, ইনিংসের অষ্টম ওভারের প্রথম বলে আবারও উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দলীয় ৬৫ রানে ১৯ বলে ৩৬ রান করে শাদাব খানের বলে রিজওয়ানকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। একই ওভারের তৃতীয় বলে এইডেন মার্করামকে বোল্ড করে আবারও প্রোটিয়াদের চাপে ফেলে দেন শাদাব খান। ব্যাট হাতে তান্ডব চালানোর পর বল হাতেও ভেলকি দেখান এই অলরাউন্ডার। ৯ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৬৯ রান সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর বৃষ্টি শুরু হয়। বেশ কিছুক্ষণ বৃষ্টির পর আবারও খেলা শুরু হয়। তবে ওভার কমিয়ে ১৪ ওভারে ১৪২ রানের নতুন লক্ষ্য পায় প্রোটিয়ারা। ফলে ৩০ বল থেকে ৭৩ রান প্রয়োজন হয় দক্ষিণ আফ্রিকার। এসময় ক্রিজে ছিলেন হেনরিখ ক্লাসেন ও ট্রিস্টান স্টাবস। ইনিংসের দশম ওভারে বোলিংয়ে আসেন শাদাব খান। এই ওভারে এক ছয় ও এক চারে ১৪ রান তুলে প্রোটিয়ারা। এরপর ১১ তম ওভারে পর পর দুই চার মারেন হেনরিখ ক্লাসেন। ওভারের পঞ্চম বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মোহাম্মদ ওয়াসিমের হাতে ধরা পড়েন তিনি। দলীয় ৯৪ রানে ৯ বলে ১৫ রান করে আউট হন ক্লাসেন। শেষ তিন ওভারে জয়ের জন্য ৪৭ রান প্রয়োজন হয় প্রোটিয়াদের। ক্লাসেনের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন ওয়ায়েন পার্নেল। ১২ তম ওভারের পঞ্চম বলে ওয়ায়েন পার্নেলকে আউট করেন মোহাম্মদ ওয়াসিম। এই ওভার থেকে মাত্র ৪ রান সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলে শেষ দুই ওভারে ৪৩ রান প্রয়োজন হয় প্রোটিয়াদের। ইনিংসের ১৩ তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন নাসিম শাহ্। প্রথম দুই বল থেকে দেন ২ রান। পরের বল ডট করেন নাসিম। ওভারের চতুর্থ বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে স্কয়ার লেগে থাকা ওয়াসিমের হাতে ধরা পড়েন ট্রিস্টান স্টাবস। ১৮ বলে ১৮ রান করে আউট হন তিনি। পরের দুই বল ডট করেন নাসিম। এতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় প্রোটিয়ারা। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৪১ রান প্রয়োজন হয় দক্ষিণ আফ্রিকার। ওভারের দ্বিতীয় বলে রান আউট হয়ে ফিরে যান রাবাদা। এরপর চতুর্থ বলে এনরিখ নর্টজেকে আউট করেন হারিস রউফ। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ১০৮ রান সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলে ৩৩ রানে জয় পায় পাকিস্তান। পাকিস্তানের পক্ষে শাহিন আফ্রিদি ৩ ও শাদাব খান নেন ২ উইকেট। এই জয়ের ফলে বিশ্বকাপে টিকে থাকলো পাকিস্তান।