এফএনএস স্পোর্টস: হতাশ হয়ে মাটিতে বসে পড়লেন রশিদ খান। লেগ স্পিন সুপারস্টার ব্যাট হাতেই দলকে জেতানোর প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। তিন বলে দরকার ছিল ১৭ রান। মার্কাস স্টয়নিসকে বিশাল ছক্কা হাঁকালেন রশিদ খান। পরের দুই বলে দরকার ১১। অজিদের মাথায় হাত! পঞ্চম বলটিও সজোরে মেরেছিলেন রশিদ, সেটি থেকে আসে ২ রান। শেষ বলে বাউন্ডারি। এভাবেই ৪ রানের রুদ্ধশ্বাস জয় তুলে নিয়ে সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখল অস্ট্রেলিয়া। পাঁচ ম্যাচে তিন পরাজয় আর দুটিতে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে শেষ হলো আফগানদের বিশ্বকাপ অভিযান। রান তাড়ায় নেমে ১৫ রানেই প্রথম উইকেট হারায় আফগানিস্তান। উসমান গনি ফিরেন ২ রানে। আরেক ওপেনার রহমানুলাহ গুরবাজ তো ১৭ বলে ৩০ রানের দারুণ ইনিংস উপহার দেন। তিন এবং চার নম্বরে নামা ইব্রাহিম জারদান (৩৩ বলে ২৬) আর গুলবাদিন নাইব (২৩ বলে ৩৯) আফগানদের জয়ের পথে রেখেছিল। গুলবাদিন রান-আউট হতেই ছন্দপতন। দ্রুত পড়ে যায় আরও তিন উইকেট। আট নম্বরে নেমে ২৩ বলে ৪৮* রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন রশিদ খান। তার ইনিংসে ছিল ৩টি চার এবং ৪টি ছক্কার মার। ৭ উইকেটে ১৬৪ রানে থামে আফগানরা। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেটে ১৬৮ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। শুরু থেকেই ঝড় তুলেছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। তবে ফজলহক ফারুকীর বলে ক্যামেরন গ্রিনের (৪) বিদায়ে দলীয় ২২ রানেই ভাঙে ওপেনিং জুটি। ১৮ বলে ২৫ রান করে ওয়ার্নারও ধরেন প্যাভিলিয়নের পথ। তিনে নেমে ৩০ বলে ৩ চার ২ ছক্কায় ৪৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন মিচেল মার্শ। ফিঞ্চের জায়গায় একাদশে সুযোগ পাওয়া স্টিভেন স্মিথ আজও ব্যর্থ। নাভিন উল হকের বলে আউট হন ৪ রান করে। অজিদের আসল খেলাটা খেলে দেন ম্যাক্সওয়েল। এই বিধ্বংসী ব্যাটার ৩২ বলে ৫৪* রানের অপরাজিত ইনিংস না খেললে আরও বিপদে পড়ত অজিরা। শেষ ৪ উইকেট তারা হারিয়েছে ২০ রানের মধ্যে। ২১ বলে ২৫ রান করে স্টয়নিসও ছোট্ট অবদান রেখেছেন। শেষ পাঁচ ওভারে মাত্র ৩৫ রান তুলেছে অস্ট্রেলিয়া। ২১ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন নাভিন উল হক। ২টি নিয়েছেন ফজলহক ফারুকী।