বাংলাদেশ বরাবরই কৃষি প্রধান দেশ। আমাদের দেশের অতীত অতিহ্য এবং বর্তমানের চিত্র সেটাই বলে। দেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় জেলা হিসেবে সাতক্ষীরার পরিস্থিতির শেষ নেই। আমাদের এই জেলা দীর্ঘ দিন যাবৎ বছরের পর বছর শস্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত কিন্তু সময়ের ব্যবধানে আর বাস্তবতার নিরিখে আমাদের জেলা কৃষিতে অর্থাৎ কৃষি উৎপাদনে অনেক অনেক পিছিয়ে পড়ছে। অতি বৃষ্টি, বন্যা, বৃষ্টিহীন সহ নানান ধরনের প্রাকৃতিক দূর্যোগ দুর্বিপাকের কারনে কাঙ্খিত উৎপাদন দেখা মিলছে না। উঠতি আমন রোপনের ক্ষেত্রে এমন টি দেখা গেছে। বৃষ্টিহীনতার কারনে কৃষকরা যথাসময়ে আমন ধান রোপন করতে পারেনি একই সাথে সেচের মাধ্যমে যা অতিরিক্ত খরচের ভার বহন করে কোন কোন এলাকায় কৃষকরা আমন ধান রোপন করেছে। প্রতিবন্ধকতায়র সৃষ্টি হয়েছে। সাতক্ষীরা বরাবরই সবজি উৎপাদনের মহাক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত কিন্তু বাস্তবতা হলো সবজি উৎপাদনের ক্ষেত্র ব্যাপক থাকলেও সম্ভাবনা উকি দিলেও কাঙ্খিত সবজি উৎপাদন হচ্ছে না যে কারনে মূল্য বৃদ্ধির পাগলা ঘোড়া ছুটে চলছে তো চলছেই। সবজি উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রকৃতির বৈরী আচরন অনেকাংশে দায়ী, সা¤প্রতিক বছর গুলোতে আমাদের জেলার উপর দিয়ে প্রবাহমান প্রকৃতির নিষ্ঠুরতা অনেকাংশে দায়ী। সাতক্ষীরার কপোতাক্ষ তীর সবজি উৎপাদনের মহাক্ষেত্র কিন্তু যথাযথ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। সাতক্ষীরার কৃষিকে বিশেষ করে খাদ্য শস্য, রবি শষ্য এবং সবজিকে উৎপাদনের শীর্ষে নিতে হলে প্রান্তীক পর্যায়ের হতদরিদ্র, গরীব কৃষকদের মাঝে স্বল্প সুদে, বিনা সুদে ঋন বিতরন করতে হবে এবং কৃষিতে প্রনোদনা বা ভুর্তুকির ব্যবস্থা করতে হবে এবং তা হবে শুধুমাত্র গরীব ও প্রকৃত কৃষকের জন্য। সাতক্ষীরার উৎপাদিত চিংড়ী, আম, কুটির শিল্প বিশ্ব বাজারে রপ্তানী হচ্ছে। দেশ বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করছে। আমাদের কৃষি পণ্য যথাযথ উৎপাদন হলে বা বিশ্ব বাজারে রপ্তানী হতে পারে এবং তা হতে দেশ প্রচুর পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করতে পারবে।