এফএনএস স্পোর্টস: সিডনিতে লড়াই হলো ইংল্যান্ড আর শ্রীলঙ্কার মাঝে, কিন্তু শিরোনামে অস্ট্রেলিয়া! কারণ একদিক দিয়ে এই ম্যাচটা তো অস্ট্রেলিয়ারই ম্যাচ ছিল! কোনোভাবে ইংল্যান্ডকে যদি শ্রীলঙ্কা হারিয়ে দিতে পারত, তাহলেই অ্যারন ফিঞ্চরা চলে যেত সেমিতে। কিন্তু সেটা হলো না। শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারিয়ে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিদায় নিশ্চিত করে দিল ইংল্যান্ড। ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভেই শেষ হলো অস্ট্রেলিয়ার অভিযান। সেমিফাইনালে চলে গেল ইংল্যান্ড। মাঝারি টার্গেট তাড়ায় নেমে দারুণ শুরু করে ইংল্যান্ড। দুই ওপেনার জস বাটলার আর অ্যালেক্স-উভয়েই ছিলেন বিধ্বংসী মেজাজে। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারেই আসে ৭০ রান। অবশেষে ৮ম ওভারে হাসারাঙ্গা ডিসিলভার বলে জস বাটলারের বিদায়ে ৭৫ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি। ২৩ বলে ২৮ রান করে ফিরেন ইংলিশ অধিনায়ক। ফিরতি ওভারে এসেই ৩০ বলে ৪৭ রান করা অ্যালেক্স হেলসকেও ফেরান হাসারাঙ্গা। হঠাৎই যেন বিপদে পড়ে যায় ইংল্যান্ড। পরপর আউট হয়ে যান হ্যারি ব্র“ক (৪), লিয়াম লিভিংস্টোন (৪) আর মঈন আলী (১)। ১১১ রানে নেই ৫ উইকেট! ম্যাচ জমে ওঠে। জয় থেকে ১৩ রান দূরে থাকতে লাহিরু কুমারার দ্বিতীয় শিকার হন স্যাম কারেন (৬)। শেষ ওভারে দরকার হয় ৫ রানের। লাহিরু কুমারাকে বাউন্ডারি মেরে ২ বল হাতে রেখেই দলকে ৪ উইকেটে জিতিয়ে দেন ক্রিস ওকস। একপ্রান্ত আগলে রাখা বেন স্টোকস অপরাজিত থাকেন ৩৬ বলে ৪২* রানে। এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেটে ১৪১ রান তুলেছিল শ্রীলঙ্কা। মার্ক উড, আদিল রশিদদের দুর্র্ধষ বোলিংয়ের সামনে এশীয় চ্যাম্পিয়নরা খাবি খাচ্ছিল। যদিও উদ্বোধনী জুটিতেই আসে ৩৯ রান। এমন ভালো শুরুর পরও তারা সেটা আর ধরে রাখতে পারেনি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে। ৪৫ বলে সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেছেন ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। তার ইনিংসে ছিল ২টি চার এবং ৫টি ছক্কার মার। এছাড়া কেউ মাঝারি স্কোরও করতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ রান করেন ভানুকা রাজাপাক্ষে, কুসল মেন্ডিস করেন ১৮ রান। ৬ ব্যাটার দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। ২৬ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন মার্ক উড। ১টি করে নিয়েছেন বেন স্টোকস, ক্রিস ওকস, স্যাম কারেন এবং আদিল রশিদ।