স্টাফ রিপোর্টার ঃ ২ কোটি ৮ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা ব্যয় মুজিব কেলা কাম আশ্রায়ন প্রকল্প নির্মানে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ঠিকাদার নাজমুল আহসান এর বিরুদ্ধে। কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান সরদার এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে গতকাল বেলা ১২টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগের সূত্র এবং সরোজমিনে প্রকল্পে স্থানে গেলে বন্দকাটি গ্রামের মুকুল, আব্দুল আলিম, মজনুর রহমান, আনারুল, আব্দুল গাফফার সহ একাধিক ব্যক্তি সাংবাদিকদের জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বন্ধ কাটি গ্রামের গোয়াল ঘেঁষিয়া নদীর চরে বন্ধ কাটি মুজিব কেলা কাম আশ্রায়ন প্রকল্প নির্মান হচ্ছে। ২কোটি ৮লক্ষ ৩৩হাজার ৩০২ টাকা ব্যয়ধরা হয়েছে। প্রকল্প টি কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে এবং টেন্ডারে ফরিদপুর জেলার খন্দকার শাহীন আহমেদ কাজটি পায়। পরে কাজটি আশাশুনি থানার ঠিকাদার নাজমুল হাসান কাজটি কিনে নিয়ে নির্মাণ কাজ চালাচ্ছেন। উক্ত প্রকল্পের কাজটি দেখাশোনার জন্য পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি করা হয়। কমিটির সভাপতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, প্রকল্প সেক্রেটারি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সদস্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এবং উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা। প্রকল্পের কাজ শুরুতে নদীর চরে বালু ভরাট হতে ভবন নির্মাণের যাবতীয় ঢালাইয়ের কাজ নিম্নমানের খোয়া বালু ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। ওই সময় কাজে অনিয়মের প্রতিবাদ করলে স্বয়ং প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী নিজে যেয়ে প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলার ভয় দেখিয়ে থানায় জিডি করে। পরে এলাকাবাসী বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দায়ের করে। প্রতিবাদের মুখে উক্ত প্রকল্পের দীর্ঘ ৫/৬মাস কাজ বন্ধ থাকার পর আবারো ছাদ ঢালাইয়ের জন্য খোয়া তৈরীর কাজে ব্যবহৃত ৩/৪ নাম্বার ইট নিম্নমানের বালু, সিমেন্ট আনলে এলাকাবাসীর প্রতিবাদের মুখে আবারও আটকে যায়। মঙ্গলবার সরেজমিনে গেলে এলাকাবাসীর বক্তব্যের সঙ্গে অতি নিম্নমানের আমা ইট স্তুপ করা দেখতে পাওয়া যায়। অন্যদিকে ভরাট কৃত চরের জায়গা ভেঙে নদীতে বিলীন হতে চলেছে। এ সময় প্রকল্প স্থানে ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী রাশেদ সরকার নামে এক ব্যক্তি কে পাওয়া গেলেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে তার মুঠোফোনে কথা বললে ঠিকাদার নাজমুল হাসান ওপেন হার্ট সার্জারি করে হাসপাতালে শয্যাশায়ী আছেন বলে জানান। বিষয়টির আরো সত্যতা জানার জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিরাজ হোসেনের নিকট জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন আমি ইট নিম্নমানের হওয়ায় গতকাল যেয়ে ফেরত নিয়ে যেতে বলেছি। বর্তমান কাজ বন্ধ আছে। উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি অভিযোগ পেয়েছি নিম্নমানের কোন ইট বা কোন সামগ্রী দিয়ে কাজ হবে না অনিয়ম করলে ঠিকাদারী লাইসেন্স বাতিল করা হবে। বিষয়টি আমি উপজেলা প্রকৌশলী কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেছি। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন এ সংক্রান্ত বিষয় আমি কিছু জানিনা এবং প্রকল্প আমাদের সংশ্লিষ্ট ঘটনার সত্যতা জানার জন্য উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি সাঈদ মেহেদী এর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলে বন্ধ পাওয়া যায়।