স্টাফ রিপোর্টার \ সাতক্ষীরা পৌরসভার সংযোগ সড়কগুলোর বেহাল দশা আর খানা খন্দকের চিত্র জনসাধারনের যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় চরমভাবে বিপর্যয়কর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে চলেছে। পৌরসভার অভ্যন্তরে এমনও সড়কের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে যে রিকসা, ভ্যান, মাইক্রো বা মোটর সাইকেল বা বাইসাইকেলে নয় হেটে যেতেও দুরবস্থাকে সঙ্গী করতে হয়। সাতক্ষীরা শহরের কর্মব্যস্ততা বা ব্যবসায়ীক গতিশীলতা শুধুমাত্র সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ সড়কের ইটাগাছা হতে টার্মিনাল পর্যন্ত নয়, যাতায়াত যোগাযোগ, ব্যবসা, নিত্য দিনের বাজার, চিকিৎসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস, আবাসন এর উলেখযোগ্য অংশ শহরের সংযোগ সড়ক তথা পৌরসভার বিভিন্ন সড়ক ও সড়ক দ্বীপে যে কারনে বেহাল, বিপর্যস্থ, খানা খন্দক আর গর্তময় সড়ক অবর্ণনীয় দুর্ভোগের কারন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। শহরের মধ্যবর্তী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক একাডেমিক মসজিদ সড়কটির কথাই বলা যায়, এই সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু সড়কটির দশা এমনই পর্যায়ে পৌছেছে যে দৃশ্যতঃ সড়ক নয় যেন মরন ফাঁদ যাতায়াতের সম্পূর্ণ অনুপোযুক্ত সেই সাথে দূর্ঘটনা প্রবন হয়ে উঠেছে। সড়কটির এক মাথায় নবারুন বিদ্যালয়, সংযোগের বিপরীতমুখে থানা ভবন, সোনালী ব্যাংক, সড়কটিতে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ, একাডেমিক মসজিদ, ডাঃ শাহ আলমের ডিজিটাল হোমিও চেম্বার, বিপরীত দিকে সিলভার জুবলী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মা শিশু কেন্দ্র, দীর্ঘদিন যাবৎ সড়কটি সড়কহীনতার চিত্র ধারন করে জনসাধারনের ভোগান্তীতে পরিনত হলেও সংস্কার সে তো অধরাই থেকে চলেছে। পৌরসভার সড়কগুলোর দুরবস্থার এখানেই শেষ নয় পৌরসভার সত্তরের অধিক সড়কের অন্তত চলিশ/পয়তালিশটি সড়ক জীর্ন চলাচলের অনুপোযুক্ত। অধিকাংশ সড়কের ইট খোয়া উঠে বড় বড় খানা খন্দকের সৃষ্টি হয়েছে। সরকারি কলেজ রোড দীর্ঘদিন যাবৎ খানা খোন্দকে পরিপূর্ণ অথচ এই সড়কটি অতি জনগুরুত্বপূর্ণ প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে দুর্ভোগকে সঙ্গী করে। এমনিভাবে কাটিয়া টাউন বাজার হতে আমতলা সড়ক, নবারুন স্কুলের মোড়, রথখোলা সড়ক, ফুড অফিস মোড়, সরকার পাড়া হতে লস্করপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় মোড়, পুরাতন সাতক্ষীরা আনছার ক্যাম্প সংলগ্ন সড়ক, আলিয়া মাদ্রাসা হতে ঘোষপাড়া পুলিশ ফাড়ি সড়ক, পিটিআই মাঠ হতে চালতে তলা সড়ক, সুলতানপুর সাহাপাড়া সড়ক, সুলতানপুর ঝিলপাড়া সড়ক, মদিনা মসজিদ সড়ক, মধুমলারডাঙ্গী সড়ক, ইটাগাছা বাঙ্গালের মোড় হতে রইচপুর সড়ক, উলেখিত সড়কগুলো এমনই বিরক্তের আর বিড়ম্বনার কারনে পরিনত হয়েছে যে ইজিবাইক সহ ভ্যান রিকসা ও সড়ক গুলোতে যেতে অনিহা প্রকাশ করে। সুলতানপুর এলাকার মনিরুজ্জামান বলেন সুলতানপুর সহ এই সড়কের সাথে সংযোগ রক্ষাকারী সড়কগুলো কেবল যাতায়াতের অনুপোযোগী তা নয় বিপদজনকও বটে। কলেজ রোডের রুহুল আমীন জানান দীর্ঘদিন যাবৎ সড়কটির এই অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি বিদ্যমান আর তাই দুর্ভোগকে সাথে নিয়েই যাতায়াত করছি। পৌরসভার সড়কগুলো বৃষ্টিতে থাকে পানিতে পূর্ণ সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা এবং শুকনো মৌসুমে ধুলাবালু আর খোয়াবিহীন সড়কের আতঙ্কিত চিত্র। সড়কগুলোর বিপদজনক আর বেহাল দশা সেই সাথে জনভোগান্তী এ বিষয়ে পৌর মেয়র তাসকিন আহমেদ চিশতির কাছে জানতে চাইলে তিনি সড়কের বর্তমান চিত্রকে স্বীকার করে বলেন অতি দ্রুততম সময়ে সড়ক সংস্কার এবং জনভোগান্তী দূরীকরনের চেষ্টা করছি।